প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বিতর্কিত মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানাল ভারত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যকে 'অসভ্য' বলে অভিহিত করেছে নয়াদিল্লি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে 'গুজরাতের কসাই' বলে বিষ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার পর কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন,'এই মন্তব্যগুলি বুঝিয়ে দেয় পাকিস্তানের রুচি ঠিক কেমন! ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিতে ঠিক কতটা নীচে নামতে পারে তারা। এটা অত্যন্ত নিম্নরুচির বক্তব্য। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বোধহয় ১৯৭১ সালের কথা ভুলে গিয়েছেন। সেই সময় পাকিস্তান সরকার বাঙালি ও হিন্দুদের গণহত্যা করেছিল। সংখ্যালঘুদের প্রতি পাকিস্তানের মনোভাব আজ পর্যন্ত খুব একটা বদলায়নি। আর ওরা ভারতকে দোষারোপ করছে!'
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,'পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা ওসামা বিন লাদেনকে শহিদের চোখে দেখে। হাফিজ সইদ,মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোনও দেশ ১২৬ সন্ত্রাসী এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষিত ২৭ সন্ত্রাসী সংগঠনকে আশ্রয় দেওয়ার গর্ব করতে পারে না! রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২৬/১১ মুম্বই হামলার শিকার নার্স অঞ্জলি বিজয় কুলথের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসী আজমল কাসাবের বুলেট থেকে ২০ জন গর্ভবতী মহিলার জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি। এটা স্পষ্ট পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী নিজের দেশের অপকর্ম ঢাকতে বেশি আগ্রহী ছিলেন।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর কথায়,'পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর উচিত তার ক্ষোভ দেশের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যারা সন্ত্রাসকে পাকিস্তানের নীতির অংশ করে তুলেছে। পাকিস্তানকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।'
পাক মন্ত্রীর বক্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বিলাওয়াল ভুট্টোকে মানসিকভাবে দেউলিয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছেন। লেখির কথায়, বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করবে না। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা থেকে বোঝা যায় যে তিনি শুধুমাত্র একটি দেউলিয়া দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তিনি মানসিকভাবেও দেউলিয়া।'