
আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। আগেই জানানো হয়েছিল, নৌবহরে জুড়বে ২৬টি রাফাল-M যুদ্ধবিমান। এবার সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্য়াডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপাঠী জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি করছে ভারত। যেহেতু এই চুক্তিটি ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে সরাসরি ভারত সরকারের মধ্যে হচ্ছে, তাই গোটা প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী জানান, ডিল ফাইনালের চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা এখনও বাকি। তবে, রাফাল কেনার বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই অনুমোদন দিয়েছিল। এই বিমানগুলি প্রাথমিকভাবে দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন করা হবে। অ্যাডমিরালের দাবি, এই চুক্তির ফলে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি দ্বিগুণ হয়ে উঠবে।
কবে নাগাদ ভারতীয় নৌবহরে যুক্ত হতে পারে এই বিমান?
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী জানাচ্ছেন, চুক্তি হওয়ার চার বছর পর, অর্থাৎ ২০২৯ সাল নাগাদ ভারতীয় নৌবহরে যুক্ত হতে পারে রাফাল-M এর প্রথম ব্য়াচ। সেক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৪টি রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান পেতে পারে ভারত। এরপর ২০৩০ সালে আরও ৫টি এবং ২০৩১ সালে বাকি যুদ্ধবিমানগুলিও পেয়ে যাবে ভারতীয় নৌসেনা।
রাফাল মেরিন সম্পর্কে আরও তথ্য জানুন
২৬টি রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমানের মধ্যে ২২টিই একক সিট বিশিষ্ট এবং বাকি ৪টি বিমানে থাকবে দুটি সিট। যুদ্ধ বিমানটি দৈর্ঘ্যে থাকছে ৫০.১ ফুট, ওজন হবে ১৫ কেজি, ফুয়েল ক্যাপাসিটি রাখা হয়েছে ১১ হাজার ২০২ লিটার। প্রয়োজনে বিমানটি প্রতি ঘণ্টায় ২২০৫ কিমি দূরত্ব সফর করতে পারে।
রাফাল-এম-এর বৈশিষ্ট্য হল এটি একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশের কাছে আধুনিক বিমানবাহী রণতরী নেই। রাফাল-এম আসার ফলে চিন ও পাকিস্তান সহ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলা করাও সহজ হবে।
রাফাল মেরিনে ইনস্টল করা রয়েছে একটি ৩০ মিমি অটোক্যানন বন্দুক। এতে ১৪টি হার্ডপয়েন্ট রয়েছে। আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভূমিতে মিসাইল ছুড়তেও এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এমনকি পারমাণবিক মিসাইল ও ক্যানন বন্দুকও একসঙ্গে এই যুদ্ধবিমান বহন করতে পারে। মাঝ আকাশেও তেল ভরার মতো দুর্দান্ত অ অত্যাধুনিক ফিচার রয়েছে এই বিমানে। যা এর পরিসরকে আরও বিস্তীর্ণ করে। ফলে এটি যে কোনও শত্রুপক্ষের কাছে হয়ে ওঠে মারাত্মক ভীতিকারক।