Advertisement

'ধ্বনি', ব্রহ্মসের চেয়েও খতরনাক এই মিসাইলের টেস্ট করবে ভারত

ধ্বনি DRDO-এর হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকেল (HSTDV) প্রোগ্রামের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০২০ সালে HSTDV সফলভাবে একটি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন পরীক্ষা করে।

'ধ্বনি', ব্রহ্মসের চেয়েও খতরনাক এই মিসাইলের টেস্ট করবে ভারত'ধ্বনি', ব্রহ্মসের চেয়েও খতরনাক এই মিসাইলের টেস্ট করবে ভারত
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 06 Oct 2025,
  • अपडेटेड 3:04 PM IST
  • ধ্বনি হল একটি হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল (HGV)
  • যা ব্যালিস্টিক বুস্টার ব্যবহার করে উচ্চতায় পৌঁছয় এবং তারপর বাতাসে গ্লাইড করে

ভারত তার হাইপারসনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও (DRDO) 'ধ্বনি' নামে একটি নতুন প্রজন্মের মিসাইল পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই মিসাইলটি ঘণ্টায় প্রায় ৭,৪০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। এর পাল্লা হবে দীর্ঘ এবং ভারত-রাশিয়ান ব্রহ্মস মিসাইলের চেয়েও দ্রুত। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রথম পরীক্ষাটি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ভারতের শত্রুকে দ্রুত আঘাত হানার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

ধ্বনি মিসাইল সম্পর্কে জানুন?

ধ্বনি DRDO-এর হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকেল (HSTDV) প্রোগ্রামের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০২০ সালে HSTDV সফলভাবে একটি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন পরীক্ষা করে। ধ্বনি হল একটি হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল (HGV), যা ব্যালিস্টিক বুস্টার ব্যবহার করে উচ্চতায় পৌঁছয় এবং তারপর বাতাসে গ্লাইড করে।

আরও পড়ুন

গতি এবং পরিসীমা: শব্দের গতির চেয়ে ৬ গুণ দ্রুত। এটি শত্রুর জবাব দেওয়ার সময় কমাবে।

ব্যবহার: সাধারণ এবং কৌশলগত আক্রমণের জন্য। এটি শত্রুর এলাকার গভীরে নির্ভুল আঘাত হানবে।

অগ্রগতি: ডিআরডিও সম্প্রতি একটি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘ-পাল্লার পরীক্ষা চালিয়েছে, যা হাইপারসনিক প্রপালশনের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এই মিসাইলটি আকাশ, সমুদ্র এবং ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। এর পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (এআরডিসি) এবং ডিফেন্স মেটালার্জিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (ডিএমআরএল) এটি তৈরি করেছে। এতে তাপ-প্রতিরোধী সিরামিক এবং উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করার জন্য আবরণ রয়েছে।

ব্রহ্মসের সঙ্গে তুলনা: ব্রহ্মস হল একটি যৌথ ইন্দো-রাশিয়ান মিসাইল, যা ম্যাক ৩ (৩৭০৪ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ২৯০-৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। এটি আইএনএস বিক্রান্ত, সুখোই-৩০এমকেআই বিমানে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, হাইপারসনিক মিসাইল ম্যাক ৫ এর বেশি গতিতে উড়ে যায়, ১০ মিনিটের মধ্যে দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছয়। ব্রহ্মস হল একটি 'স্ক্যাল্পেল', কিন্তু ধ্বনি হল একটি 'ছায়া'—যতক্ষণ না আঘাত লাগে ততক্ষণ পর্যন্ত অদৃশ্য। হাইপারসনিক মিসাইলের গ্লাইড পথ অনিয়মিত, যা রাডার এড়াতে পার। ব্রহ্মসের র‍্যামজেট প্রোফাইল আরও সহজে ট্র্যাক করা যায়। S-400 এর মতো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আরও বেশি তীক্ষ্ণ হবে ধ্বনি। একজন DRDO বিজ্ঞানী বলেছেন যে BrahMos নির্ভুল, কিন্তু ধ্বনি অদৃশ্য গভীরতায় পৌঁছয়।

Advertisement

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

এই মিসাইলের টেস্ট সফল হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের মতো নির্বাচিত দেশগুলির একটি দলে যোগ দেবে ভারত। হাইপারসনিক অস্ত্র শত্রুর প্রতিক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। এটি আধুনিক যুদ্ধের ভারসাম্যকে বদলে দেবে। আফগান সীমান্তের কাছে যেখানে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি তৈরি করছে, সেই অঞ্চলগুলিও এর পরিসরের মধ্যে থাকবে।

চিনের DF-17 এবং রাশিয়ার Avangard এর মতো মিসাইলের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করবে ধ্বনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) এবং ভারত মহাসাগরে উত্তেজনা বাড়ছে। ধ্বনি ভারতকে 'প্রম্পট গ্লোবাল স্ট্রাইক' ক্ষমতা দেবে। এই পরিসর AMCA ফাইটার বা অগ্নি-VI বুস্টার দিয়ে বাড়ানো যেতে পারে।

পরীক্ষা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা

২০২৫ সালের পরীক্ষাটি কোনও উপকূল থেকে করা হতে পারে। এতে এয়ারফ্রেম এবং গাইডেন্স সিস্টেমের পরীক্ষা হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের মাধ্যমে শেষ পরীক্ষা চালানো হবে। এটি ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে মোতায়েন করা হতে পারে। হাইপারসনিক মিসাইলের গবেষণা ও তৈরির জন্য ২৫,০০০ কোটি টাকার তহবিল রয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (CCS) এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেট ১২% বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement