বিশ্বকে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে মহাকুম্ভ। শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে 'মহাকুম্ভ: সনাতন ধর্মের মূলমন্ত্র' শীর্ষক আলোচনায় এ কথাই বললেন ঋষিকেশের পরমার্থ নিকেতনের সভাপতি স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন,'এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একদিকে যেমন চিন্তাভাবনায় বিরাট পরিবর্তন এনেছে, তেমনই এর মাধ্যমে তারা সনাতন ঐতিহ্য আসলে কী এবং এর প্রকৃতি কী, তাও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন বহু মানুষ।
সনাতন ঐতিহ্যে সাম্যের বার্তা
সনাতন ঐতিহ্যে সকলে সমান। এই সাম্য মহাকুম্ভে দেখা গিয়েছে বলে মনে করিয়ে দেন স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তাঁর কথায়,'দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে রামু- একই ঘাটে স্নান করছেন। মহাকুম্ভ কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ভারতীয় সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং ঐক্যের প্রতীক'। এখন আধ্যাত্মিকতার দিকে বেশি ঝুঁকছে। এই পরিবর্তন সঙ্গমের তীরে তিনি অনুভূত করেছেন বলে জানান তিনি।
মহাকুম্ভকে ভারতীয় সমাজের ঐক্যের জীবন্ত উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন,'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং একজন সাধারণ কর্মচারী সঙ্গমে একই ঘাটে স্নান করেছেন। এর চেয়ে বড় সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তা আর কী হতে পারে? যেখানে জাতি, ধর্ম এবং শ্রেণীর বৈষম্য দূর হয়'।
শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা
স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী বলেন,'প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের সময় শান্তি ও সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব পরিবেশ দেখা গিয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সমস্ত সম্প্রদায় একসঙ্গে অনুষ্ঠানটি সফল করেছে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক আশ্চর্য ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। যে মহাকুম্ভ এখন আর কেবল একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান নয় বরং এটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছিল'।
তিনি আরও বলেন,'এবার তরুণদের উৎসাহ দেখার মতো ছিল। কুম্ভ তাঁদের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সঙ্গম অভিজ্ঞতা করিয়েছে। তরুণদের বলব- জিন্স পরো, কিন্তু নিজের জিন ভুলে যেও না'। অর্থাৎ, আধুনিকতা গ্রহণ করুন, কিন্তু শিকড় এবং সংস্কৃতি ভুলে নয়।