'আবকি বার চারশো পার' স্লোগান দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি তারা। নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। টানা তৃতীয়বার ফিরলেও সেটা স্বস্তিকর হয়নি। বরং আদৌ এনডিএ সরকার হবে কিনা, একটা সময় তা নিয়ে দেখা গিয়েছিল সংশয়। তবে বছর ঘোরার আগেই বিরোধী শিবিরের যাবতীয় উৎসাহ-উদ্দীপনা মাটি হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার পর দিল্লিতেও গেরুয়া-ঝড়। সেই ঝড়ের প্রতিফলনই দেখা গেল সমীক্ষায়। ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ-সি ভোটারের মুড অফ দ্য নেশন (এমওটিএন) সমীক্ষা বলছে, আজ লোকসভা ভোট হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে পদ্মশিবির।
সমীক্ষা বলছে, এখন লোকসভার ভোটগ্রহণ হলে বিজেপি অন্তত ২৮১টি আসন পেতে পারে। এর অর্থ হল মোদী-শাহের দল একাই সরকার গঠন করতে পারবে। কমছে কংগ্রেসের আসন। তারা পেতে পারে ৭৮টি। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৯৯টি আসন পেয়েছিল। অন্যদের ঝুলিতে যেতে পারে ১৮৪টি।
এখন নির্বাচন হলে কোন দলের ভোটের হার কত হবে?
বিজেপি - ৪০.৭%
কংগ্রেস - ২০.৫%
অন্যান্য - ৩৮.৫%
কোন দল কত আসন পাবে?
বিজেপি- ২৮১
কংগ্রেস- ৭৮
তিনশো পার এনডিএ
এনডিএ - ৩৪৩
ইন্ডিয়া মঞ্চ- ১৮৮
অন্যান্য - ১২
২ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলেছে সমীক্ষা
এই সমীক্ষাটি ( MOTN) চালিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ এবং CVoter। গত ২ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা করা হয়েছে। মতামত নেওয়া হয়েছে ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের ৫৪,৪১৮ জনের। এছাড়া গত ২৪ সপ্তাহে ৭০,৭০৫ জনের কাছে গিয়েছিল সি-ভোটার। মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১২৩ জনের মতামত বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে এই সমীক্ষা।
এর উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝা। CATI (কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউয়িং) পদ্ধতি ব্যবহার করে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। র্যান্ডম ডায়ালিং (RDD) করে সারা দেশের মানুষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সমস্ত টেলিকম সার্কেলকে শামিল করা হয়েছিল এই সমীক্ষায়। এছাড়া ভারতের জনসংখ্যার বৈচিত্র রয়েছে, তাও মাথায় রাখা হয়েছে, যাতে সকলের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকে।