৫০ শতাংশ ট্যারিফ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জেরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অনড় মনোভাবের কারণে চিনের ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে পরোক্ষে চিন্তাও ব্যক্ত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে সম্পর্কের সেই বরফ এবার গলার পক্ষে ইঙ্গিত মিলল।
সোমবার রাতে ভারতে আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হবে। সেখান থেকে সমাধান সূত্র বেরোবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও তার ইঙ্গিত কয়েকদিন আগেই দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। তখনই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ব্যবসার জন্য ভারত ও আমেরিকা ফের সঠিক পথে ফিরে এসেছে। মার্কিন প্রধান আলোচক ব্রেন্ডন লিঞ্চ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একদিনের সফরে ভারতে আসছেন। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং মঙ্গলবার তাঁর ভারতীয় প্রতিপক্ষ, বাণিজ্য বিভাগের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য ৫ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ষষ্ঠ দফার বৈঠক বসবে। এর আগে, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জড়িয়ে পড়া সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য মার্কিন দলের ২৫ থেকে ২৯ অগাস্টের মধ্যে সফরের কথা ছিল। কিন্তু, ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পর তা বাতিল করা হয়েছিল।
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি কোথায় আটকে আছে?
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা আটকে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, ট্রাম্প কিছু পণ্যের উপর শুল্ক ছাড়ের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে শিল্প পণ্য, বৈদ্যুতিক যানবাহন, পেট্রোকেমিক্যাল, ওয়াইন, দুগ্ধজাত পণ্য, আপেল ও বাদাম। অন্যদিকে, ভারত কৃষি ও দুগ্ধ খাতের বিষয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়। ভারতের তরফে এখনও বাণিজ্য চুক্তিতে দুগ্ধজাত পণ্যের উপর কোনও শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়নি।