Advertisement

স্বর্ণমন্দিরে এয়ার ডিফেন্স গান মোতায়েনের কথা অস্বীকার করল সেনা

২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে অপারেশ সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ড্রোন এবং প্রজেক্টাইল দ্বারা অমৃতসরকে টার্গেট করে।

স্বর্ণমন্দিরে এয়ার ডিফেন্স গান মোতায়েনের কথা অস্বীকার করল সেনাস্বর্ণমন্দিরে এয়ার ডিফেন্স গান মোতায়েনের কথা অস্বীকার করল সেনা
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 20 May 2025,
  • अपडेटेड 9:44 PM IST
  • ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে অপারেশ সিঁদুর চালিয়েছে ভারত
  • পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ড্রোন এবং প্রজেক্টাইল দ্বারা অমৃতসরকে টার্গেট করে

পাকিস্তানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের ভিতরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার দাবি অস্বীকার করল ভারতীয় সেনা। তাদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বর্ণমন্দিরে এয়ার ডিফেন্স গান মোতায়েনের বিষয়ে কিছু মিডিয়া রিপোর্ট করেছে। এটা স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে শ্রী দরবার সাহিব অমৃতসর (স্বর্ণমন্দির) প্রাঙ্গণে কোনও এডি গান বা অন্য কোনও এডি মোতায়েন করা হয়নি।'

২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে অপারেশ সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ড্রোন এবং প্রজেক্টাইল দ্বারা অমৃতসরকে টার্গেট করে। স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থি সিং সাহেব জ্ঞানী রঘবীর সিংও মন্দির প্রাঙ্গণে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমার কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যে ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি ছুটিতে ছিলাম এবং বিদেশে ছিলাম। আমি এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই। এর পিছনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা স্পষ্ট করে বলা উচিত।'

পাকিস্তানের সম্ভাব্য আক্রমণ মোকাবিলায় স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীকে মন্দিরের ভেতরে এয়ার ডিফেন্স গান মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছিল বলে খবর প্রকাশের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই স্পষ্টীকরণ এসেছে। সেনার এয়ার ডিফেন্স বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি'কুনহা দাবি করেছেন যে স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থি পবিত্র প্রাঙ্গণে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি'কুনহা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এটা খুবই ভাল যে স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থি আমাদের গান মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছিলেন। বহু বছরের মধ্যে সম্ভবত এটিই প্রথমবার যে তারা স্বর্ণমন্দিরের আলো নিভিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে আমরা ড্রোন দেখতে পারি।'

আরও পড়ুন

সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স বিভাগের ডিজি আরও উল্লেখ করেছেন যে স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল যে সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভকে সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের গান মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছিলে। যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যান। ফলস্বরূপ, গান মোতায়েন করা হয়েছিল। স্বর্ণমন্দিরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডি'কুনহা আরও বলেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী  বুঝতে পেরেছিল যে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ধর্মীয় স্থানগুলিকে টার্গেট করতে পারে। তিনি বলেন, 'সৌভাগ্যবশত, আমরা কল্পনা করেছিলাম যে তারা (পাকিস্তান) কী করতে পারে। বুঝতে পেরেছিলাম যে তারা স্বর্ণমন্দিরকে টার্গেট করবে। সীমান্তে বৈধ আক্রমণ চালানোর মতো কোনও নিশানাই পাকিস্তানের নেই। তাই তারা অভ্যন্তরীণভাবে বিভ্রান্তি, বিশৃঙ্খলা তৈরিতে বেশি আগ্রহী ছিল এবং তাই, আমরা কল্পনা করেছিলাম যে তারা আমাদের নাগরিক এবং আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলিকে টার্গেট করবে।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement