জম্মু ও কাশ্মীরের পহলেগাঁও হামলার পর নিরাপত্তা সংস্থাগুলি উদ্বেগ চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় বারামুল্লায় বড় সাফল্য অর্জন করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণরেখার হাজিকাঠি এলাকায় এফস প্লাটুনের সঙ্গে যৌথ অভিযানে দুই পাক-অধ্যুষিত সন্ত্রাসী LoC পারাপার হওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করে হত্যা করা হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার হয়েছে দুইটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একাধিক কার্তুজ, গোলাবারুদ, পাকিস্তানি মুদ্রা, চকলেট ও সিগারেটের প্যাকেট।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ওই সন্ত্রাসীরা পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর চক্রবালিভাবে গুলি চালানোর পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যভূমিতে ঢুকতে না পেরে ধরা পড়ে এভাসিভ এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার ঠিক আগের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে পৌঁছে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক করেন এবং আক্রান্ত বৈসরান উপত্যকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং “ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখছি—ভারত সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেবেনা” দাবি করেন।
পুনরায় প্রস্তুতি হিসেবে র্যাফ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা বিভাগ পহলেগাঁও-বারামুল্লা সীমানায় টহল বৃদ্ধি করেছে। সেনাবাহিনী আধিকারিকরা বলছেন, “এই অভিযান প্রমাণ করে আমাদের শক্তিশালী নিরাপত্তা নীতি সঠিক পথে রয়েছে।” এখন দেখার, মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক কত দ্রুত নতুন কৌশল নিরূপণ করে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালায়।