পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি জোরদার করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি দীর্ঘ-পাল্লার নির্ভুল আক্রমণাত্মক হামলার জন্য তাদের প্ল্যাটফর্ম, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। নৌবাহিনীও তাদের যুদ্ধ মহড়া জোরদার করতে ব্যস্ত। নৌবাহিনী শনিবার বেশ কয়েকটি সফল জাহাজ-বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে যুদ্ধ প্রস্তুতির কিছু ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে জাহাজ থেকে মিসাইল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এর একদিন আগে নৌবাহিনী সমুদ্রে তাদের যুদ্ধজাহাজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিল, 'ভারতীয় নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষার জন্য যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায়, যে কোনও উপায়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।' ভারতীয় নৌবাহিনীর এই পোস্টটিকে ভারতের শত্রুদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ভারতীয় নৌবাহিনীর সম্ভাব্য পদক্ষেপের আশঙ্কায় পাকিস্তান আরব সাগরে তার নৌবাহিনীর জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এর আগে আরব সাগরের উপর একটি নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছিল এবং নাবিকদের এই অঞ্চল থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে লাইভ-ফায়ার অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। এদিকে, খবর পাওয়া যাচ্ছে যে পাকিস্তান একটি নতুন মিসাইল পরীক্ষা করতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুরাত আরব সাগরে মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এমআরএসএএম) পরীক্ষা করেছে। ওই মিসাইল নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই পরীক্ষাটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের প্রস্তুতির প্রতিফলন ঘটায়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এই মিসাইল পরীক্ষার সময়টি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি ঘটেছিল আরব সাগরে পাকিস্তানের আসন্ন মিসাইল পরীক্ষার বিষয়ে সামুদ্রিক সতর্কতা জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরেই।