Advertisement

Operation Sindoor: রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছিল 'অপারেশন সিঁদুর'-এ! বড় দাবি নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেনের

ক্যাপ্টেন শিব কুমারের করা 'অপারেশন সিঁদুর'-এ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের দাবি ঘইরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বক্তব্য সামনে আসার পরেই সরকারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা।

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • জাকার্তা ,
  • 30 Jun 2025,
  • अपडेटेड 7:26 AM IST
  • রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছিল 'অপারেশন সিঁদুর'-এ
  • ঠিক কী দাবি করেছেন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন?
  • ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে কী বক্তব্য তাঁর?

'অপারেশন সিঁদুর'-এর কি ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে? ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান আগেই সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। এবার অপারেশনে সরকারি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও উঠল। ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সহদূত, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমারের একটি দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সহদূত, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার দাবি করেন,  ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কিছু ফাইটার জেট খোয়াতে হয়েছে ভারতকে। এবং এর কারণ পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রত্যাঘাতের যে সিদ্ধান্ত সেনা নিয়েছিল, অপারেশনের গোড়ার দিকে তার উপরে ‘রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ’ ছিল!

ক্যাপ্টেন শিব কুমারের এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই সরকারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। প্রায় একইসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত ভারতের দূতাবাস থেকে প্রকাশ করা হয় ব্যাখ্যা। বলা হয়, ক্যাপ্টেন শিব কুমারের কথা অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলতে চেয়েছেন, ভারতীয় বাহিনী একটি অসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে কাজ করে, যেটা ভারতের প্রতিবেশী কিছু দেশে হয় না। বক্তব্যের উদ্দেশ্যকে কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বিকৃত করা হয়েছে বলেও দাবি দূতাবাসের।

তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আগে সরকারের তরফে তো বটেই, অপারেশনের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে দাবি করেন, পাকিস্তানের উপরে প্রত্যাঘাত হবে, সে সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সেনার উপরেই ছেড়েছিল কেন্দ্র। এদিকে,  জাকার্তার সেমিনারে ইন্দোনেশিয়ার এক এয়ারস্পেস এক্সপার্ট দাবি করেন,স পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সুখোই-৩০ খুইয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে একটি ট্যাকটিক্যাল ড্রোন এবং দু’টি এস-৪০০ লঞ্চারের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এই দাবি খারিজ করে ক্যাপ্টেন শিব কুমার বলেন, 'আমি আপনার সঙ্গে একমত নই।  মেনে নিচ্ছি, আমরা এয়ারক্রাফ্ট খুইয়েছি। পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে আঘাত হানার যে সিদ্ধান্ত হয়, তার উপরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণের জন্যই এটা হয়েছিল।'

কী সেই নিয়ন্ত্রণ? তারও ব্যাখ্যা দিয়ে ক্যাপ্টেন বলেন, 'বলা হয়েছিল কোনও মিলিটারি বা সিভিল ইনস্টলেশনে আঘাত হানা যাবে না। জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন কোথাও আঘাত হানা যাবে না। এই নিয়ন্ত্রণ মেনে চলতে গিয়েই ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছিল। যদিও এরপরেই আমরা ট্যাকটিক্স বদলে ফেলি। ওদের মিলিটারি ইনস্টলেশন লক্ষ্য করে প্রত্যাঘাত করি। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে দিই। এ কারণেই আমাদের মিসাইলগুলি পাকিস্তানে ঢুকে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেছিল।'

Advertisement

এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই ময়দানে নেমে পড়ে কংগ্রেস। দলের সাংসদ জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘প্রথমে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ কিছু সত্যি ঘটনা প্রকাশ করেন সিঙ্গাপুরে৷ এ বার আর একজন উচ্চপদস্থ প্রতিরক্ষা আধিকারিক ইন্দোনেশিয়ায় বক্তব্য রাখলেন৷ এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে প্রকৃত সত্য তুলে ধরছেন না?’

 

Read more!
Advertisement
Advertisement