Advertisement

ভারতের বেশিরভাগ মানুষ কি মাছ-মাংস খান না? খাবার নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য

ভারতের বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষ খান। অন্তত এমনটাই ধারনা অন্য দেশের মানুষের। সত্যিই কি তাই ? কারা বেশি নিরামিষ খান, আমিষই বা কাদের পাতে বেশি থাকে ?

Indian People Food Habits
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 09 Jan 2024,
  • अपडेटेड 5:56 PM IST
  • ভারতের বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষ খান
  • অন্তত এমনটাই ধারনা অন্য দেশের মানুষের
  • তথ্য কী বলছে? আসুন জেনে নিই।

ভারতের বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষ খান। অন্তত এমনটাই ধারনা অন্য দেশের মানুষের। দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষও ভারতের খাদ্যাভাস নিয়ে জানতে বেশ উৎসাহ দেখান। বেশিরভাগ দেশের মানুষই মনে করে, ভারতে  নিরামিষ খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। আমিষ খাবারের চেয়ে নিরামিষকে বেশিই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ প্রতি দু'জন ভারতীয়র মধ্যে একজন শুধু আমিষ খাবার উপভোগই করেন না, প্রতি সপ্তাহে খানও। 

ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ফাইভ (২০১৯-২১) অনুসারে, দেশের ৫৭.৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৫.১ শতাংশ মহিলা সপ্তাহে অন্তত একবার চিকেন, মাছ বা অন্য ধরণের আমিষ জাতীয় খাবার খান। গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ বেশি আমিষ খান। শহরাঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় ৬০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০.৮ শতাংশ মহিলা সপ্তাহে অন্তত একবার কোনও না কোনও ধরনের মাংস খান। 

আমিষভোজী: রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টানরা অন্য যে কোনও ধর্মের মানুষের চেয়ে বেশি আমিষ খান। প্রায় ৮০ শতাংশ খ্রিস্টান পুরুষ এবং ৭৮ শতাংশ খ্রিস্টান মহিলা সপ্তাহে অন্তত একবার আমিষ খাবার খান। সেই তুলনায় মুসলিম মহিলা ও পুরুষরা ৭৯.৫ ও ৭০.২ শতাংশ এবং হিন্দুদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৫২.৫ ও ৪০.৭ শতাংশ আমিষ খাবার খান।

ভারতে সবথেকে বেশি আমিষভোজী পূর্ব, দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতে। গোয়া, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশে পুরুষদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি সপ্তাহে অন্তত একবার মাছ, চিকেন বা অন্য মাংস খান। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুতে, পুরুষ জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ সপ্তাহে সপ্তাহে আমিষ খাবার খেয়ে থাকেন। 

গোটা বিশ্বে মাংস রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম দেশ ভারত। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতে, ভারত থেকে মহিষের মাংস ৭১টি দেশে রপ্তানি হয়।

Advertisement

২০২৩ অর্থবছরে ২৫,৬৪৮ কোটি টাকার মহিষের মাংস রপ্তানি হয়েছিল। ২০১২ সালের আর্থিক বছরে এই টাকার অঙ্কটা ছিল ১৩,৭৫৭ কোটি। এর বেশির ভাগ রপ্তানি হয়েছে মাত্র দুটি দেশে। সেই দেশগুলো হল মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম। অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে রয়েছে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, সৌদি আরব, ফিলিপাইন এবং হংকং।



Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement