এক্সপ্রেস ট্রেনের চাদর-কম্বল কি নিয়মিত ধোয়া হয়? অনেকেই সেই প্রশ্ন করেন। কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ ইন্দোরাও সেই প্রশ্ন তোলেন। তারই জবাব দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানালেন, 'ট্রেনের যাত্রীদের কম্বল মাসে অন্তত একবার করে ধোয়া হয়। বেডরোল কিটে একটি অতিরিক্ত বেডশিট দেওয়া হয়ও, কুইল্ট কভার হিসাবে ব্যবহারের জন্য।' বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন তিনি।
কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ ইন্দোরা বেডশিট নিয়ে রেলের পরিচ্ছন্নতা কতটা, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, রেলের যাত্রীদের দেওয়া কম্বলগুলি নিয়মিত ধোয়া হয় কিনা। বলেন, 'কম্বল মাসে অন্তত একবারও কি ধোয়া হয়? যাত্রীরা বেডিংয়ের জন্য টাকা দেন। সেখানে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানদণ্ড কি পূরণ করা হয়?'
লিখিত উত্তরে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'এখন ভারতীয় রেলে যে কম্বল ব্যবহার করা হয়, সেগুলি হালকা, ধোয়া সহজ এবং বেশ গরম হয়। যাত্রীদের সামগ্রিক আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতার জন্য এমন কম্বল দেওয়া হয়।'
তিনি যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, BIS স্পেসিফিকেশন সহ নতুন লিনেন সেট নিয়মিত কেনা হয়। এছাড়া যান্ত্রিক লন্ড্রি, লিনেন ধোয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড মেশিন এবং নির্দিষ্ট রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। চাদর-কম্বল নিয়মিত ধোয়ার বিষয়টি কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
হোয়াইটো-মিটার নামের একটি বিশেষ যন্ত্রের কথাও উল্লেখ করেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানান, চাদর-কম্বল ধোয়ার পর সেগুলি কতটা পরিষ্কার হয়েছে, তার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
শুধু তাই নয়। রেলমন্ত্রীর কথায়, এখন চাদর-কম্বল আগের তুলনায় কমবার রিইউজ করা হয়। এতে সেগুলির মান ভাল থাকে। তাছাড়া পরিচ্ছন্নও থাকে।
রেলমন্ত্রী জানান, পোর্টালে অভিযোগ দ্রুত গ্রহণ করা হয়। এরপর জোনাল সদর দফতর এবং বিভাগীয় স্তরে ওয়ার রুমও সেটআপ করা হয়েছে। এখানে লিনেন/বেডরোল সংক্রান্ত অভিযোগও গ্রহণ করা হয়।
বেডরোল পরিবেশ-বান্ধব প্যাকেজিং করা হয় বলে জানান রেলমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, স্টেশন এবং ট্রেনে লিনেন/বেডরোল সংরক্ষণ, পরিবহন, লোডিং এবং আনলোড করার জন্য উন্নত মানের চাদর-লিনেন ব্যবহার করা হয়।