
কর্মীর অভাবে ভুগছে বিমান সংস্থা IndiGo। যার ফলে সংস্থার পক্ষ থেকে সারা দেশে প্রায় ৪০০-এর বেশি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি এয়ারপোর্টেই আজ ২৩৫টি বিমান ক্যানসেল করা হয়েছে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আজ সমস্যায় পড়েছেন।
তবে এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। এর আগেও ইন্ডিগো একাধিক ফ্লাইট ক্যানসেল করেছে। তাদের পক্ষ থেকে ৫০০-এর বেশি ফ্লাইট ক্যানসেল করা হয়েছে। যার ফলে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
কী জানিয়েছে ইন্ডিগো?
চলতি সপ্তাহে বারবার বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। যার জন্য তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে। পাশাপাশি তারা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসএ-কে জানিয়েছে যে, ৮ তারিখের পর থেকে মোটামুটি ঠিক ঠাক থাকবে পরিষেবা। আর ১০ ফেব্রুয়ারির পর পরিষেবা একদম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এই সংস্থা জানিয়েছে যে, FDTL-এর নিয়ম লাগু করার ক্ষেত্রে ঠিকঠাক পরিকল্পনা করা বা সিদ্ধান্ত সম্ভব হয়নি। যার ফলে এত সমস্যা হচ্ছে। তবে কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
দিল্লিতে সব ফ্লাইট ক্যানসেল
আজ দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ২৩৫ ফ্লাইট ক্যানসেল করা হয়েছে আজ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে। আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাতিল থাকবে বিমান। সংস্থার কর্মীরা পরিস্থিতি সামলানোর সব ধরনের কাজ করছেন। পাশাপাশি যাত্রীদের এই সমস্যার জন্য তারা ক্ষমাও চেয়েছেন।
কোথায় কী অবস্থা?
১. মুম্বই এয়ারপোর্টে ১০৫টি ফ্লাইট আজ ক্যানসেল করা হয়েছে।
২. বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে ৫২টি অ্যারাইভাল এবং ৫০টি ডিপারচার, মোট ১০২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
৩. হায়দরাবাদ এয়ারপোর্টে ৪৩টি অ্যারাইভাল এবং ৪৯টি ডিপারচার ফ্লাইট ক্যানসেল করা হয়েছে।
৪. পুণে এয়ারপোর্টে ১৬টি অ্যারাইভাল এবং ১৬টি ডিপারচার ফ্লাইট ক্যানসেল।
৫. কলকাতা এয়ারপোর্টেও অবস্থা খারাপ। ৩২০টি ফ্লাইট দেরিতে চলছে। পাশাপাশি ৯২টি রয়েছে ক্যানসেল।
কেন ক্যানসেল হচ্ছে ফ্লাইট?
যতদূর খবর, কর্মী সংকটে ভুগছে ইন্ডিগো। যার ফলে তাদের বিমানগুলি পার্কিংয়ে রয়ে গিয়েছে। আর একাধিক বিমান পার্কিংয়ে থাকায় নতুন করে বিমান চলাচলে হচ্ছে সমস্যা।
আর এই নিয়েই তোপ দেগেছে বিরোধীরা। তাদের পক্ষ থেকে সরকাররের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। এখন দেখার পরিস্থিতি ঠিক কবে স্বাভাবিক হয়।