এবার ইন্ডিগোর বিমানে বিপর্যয়। দিল্লি থেকে লেহ্গামী বিমান 6E 2006 ফেরৎ এল দিল্লিতে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটিকে ফেরৎ আনা হয় বলে জানা যায়। দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করানো হয়। গতকাল ইন্ডিগোর ভুবনেশ্বর-কলকাতা বিমান বাতিল করা হয়। বিমানটিতে ১৮০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে টেকঅফের সময়ই বিমানে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়েতেই বিমান থামিয়ে আনা হয় পার্কিং বে–তে। বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, বিমানে পাখির ধাক্কা লাগার কারণে এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এরপর দেড় ঘণ্টা ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে আটকে ছিল বিমানটি। এরপর বিমানটি বাতিল করা হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা।
বুধবার রায়পুরে ইন্ডিগোর আরও একটি বিমান বিভ্রাটের মুখে পড়ে। দিল্লি থেকে রায়পুর গিয়েছিল ইন্ডিগোর 6E 6312 বিমানটি। কিন্তু বিমানটি ল্যান্ড করার পরই বিপত্তি বাধে। দুপুর ২টো ২৫ মিনিট নাগাদ রায়পুরের বীর নারায়ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। দরজার লক খুলছিল না। এই সমস্যা মেটাতে আধ ঘণ্টা লেগে যায়। ওই বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ভুপেশ বাঘেল, ছত্তিশগড়ের বিধায়ক চতুরী নন্দ এবং রায়পুরের মেয়র মীনাল চৌবে।
দিন দুই আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। এয়ার ইন্ডিয়ার সানফ্রান্সিসকো-মুম্বই ভায়া কলকাতা বিমানে বিভ্রাট ধরা পড়ে। মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে ত্রুটি ধরার পর যাত্রীদের বিমান থেকে নামানো হয়। জানা যায়, AI180, বোয়িংয়ের বিমান রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কলকাতায় অবতরণ করে। রাত ২টোয় মুম্বইয়ের উদ্দেশে টেক অফের কথা ছিল বিমানটির। তবে কলকাতায় বিমানটির অবতরণের পর বাঁ দিকের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপরে ভোর ৫টা ২০ মিনিটে বিমান থেকে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়।
গত ১৭ জুন দিল্লিগামী ইন্ডিগোর যাত্রীবাহী বিমানে মিলল বোমা হামলার হুমকি মেলে। নাগপুর এয়ারপোর্টে ইন্ডিগোর ওই বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয়। বোমা হামলার হুমকি পেয়ে, কোচি থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানকে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর ডজন খানেকের বেশি বিমানে ত্রুটি দেখা দেয়। কোনও সময়ে বিমানে বোমাতঙ্ক, কোনও সময় যান্ত্রিক ত্রুটি, যার জেরে একের পর এক বিমান বিভ্রাটে ওষ্ঠাগত যাত্রীরা। একেই প্রাণ হাতে নিয়ে যাত্রা, তারওপর বাতিল, দেরির কারণে সময় নষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে বিমান যাত্রায় ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের।