Advertisement

'বিয়ের পর স্বামী ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে গোমাংস খাইয়েছে', পুলিশের দ্বারস্থ হিন্দু মহিলা

স্বামীর বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ হিন্দু মহিলার। তাঁর দাবি, স্বামী তাঁকে বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে গোমাংস খেতে বাধ্য করেছেন। পাঁচ বছর আগে ফেসবুকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় মহিলার।

বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করানোর অভিযোগ বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করানোর অভিযোগ
Aajtak Bangla
  • ইন্দোর ,
  • 07 Jul 2025,
  • अपडेटेड 5:15 PM IST
  • স্বামীর বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ হিন্দু মহিলার
  • তাঁর দাবি, স্বামী তাঁকে বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে গোমাংস খেতে বাধ্য করেছেন

স্বামীর বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ হিন্দু মহিলার। তাঁর দাবি, স্বামী তাঁকে বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে গোমাংস খেতে বাধ্য করেছেন। পাঁচ বছর আগে ফেসবুকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় মহিলার। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। 

আরতি কুমারী নামে ওই মহিলার বাড়ি ইন্দোরে। ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বিহারের বেগুসরাইয়ের মহম্মদ শাহবাজের। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ে করেন। তারপর শাহবাজের বাড়ি চলে যান সেই তরুণী। 

 ওই মহিলা পুলিশকে অভিযোগপত্রে জানান, 'বেশ কয়েকবছর ধরে সম্পর্কের পর বিয়ে করি। স্বামীর ঘরে যাই। তবে সেখানে আমাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। স্বামী আমাকে গোমাংস খাওয়ায়। এমনকী ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে দেয়। সে আমার মোবাইল থেকে সব হিন্দু-দেবদেবীদের ছবি ডিলিট করে দেয়। আমি প্রতিবাদ করাতে মারধর করে।' 

শাহবাজ তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ আরতির। অভিযোগ, শাহবাজ তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর সোনার ব্যবসা আছে। অথচ বিয়ের পর গিয়ে দেখেন, সাধারণ ফুলের মালার ব্যবসা আছে শাহবাজের। বিয়ের পর প্রাথমিকভাবে সব ঠিক থাকলেও শাহবাজ জানিয়ে দেন, তিনি আর থাকতে পারবেন না আরতির সঙ্গে। 

যদিও আরতিকে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেয় পুলিশ। তবে আরতি তাতে রাজি হননি। তিনি কোনওরকমে নিজের বাড়ি ইন্দোরে যেতে চাইছেন। পুলিশের তরফে ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে। আরতির কথায়, 'আমি শাহবাজের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য বাবা-মা আমাকে পছন্দ করেন না। তবে আমি জানি, তাঁরা আমাকে ফেলতে পারবেন না। আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই।' 

এদিকে আরতির তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহবাজ। তাঁর পাল্টা দাবি, আরতি তিন সন্তানের মা। তাঁর আগে বিয়ে হয়েছিল। এই সব তথ্য তিনি জানতেন না। আরতির এখন আর মা হওয়ার ক্ষমতা নেই। তিনি পুলিশকে বলেন, 'আরতি তো লেখাপড়া জানে না। তাকে কেন আমি কোরান পড়তে বলব বা গোমাংস খাওয়ানোর জন্য জোর করব? যা অভিযোগ করা হচ্ছে, সব মিথ্যে।'  
 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement