ফাঁসির মতো যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি নয়! মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে কেন্দ্রকে আলোচনা শুরু করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার থেকে অন্য কোনও পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে তথ্য চাইছে শীর্ষ আদালত। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের ফাঁসির সাজা বাতিলের দাবিতে একটি আরজি দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
মামলাকারী ঋষি মালহোত্রার দাবি, আইন কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারাটা নিষ্ঠুর এবং যন্ত্রণাদায়ক। তাই অপরাধীদের বিকল্প কোনও যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। বিকল্প হিসাবে, ইঞ্জেকশন, গুলি করে মারা বা ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মতো পদ্ধতির চিন্তাভাবনা করা হোক।
পিটিশনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য "অন্যান্য পদ্ধতি" ব্যবহার করার বিষয়ে আদালতের আদেশ চাওয়া হয়েছে, যেমন প্রাণঘাতী ইনজেকশন, ফায়ারিং স্কোয়াড বা বৈদ্যুতিক চেয়ার।
আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে, ফায়ারিং স্কোয়াড দ্বারা মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা "আগের দিনগুলিতে" একটি অনুশীলন ছিল এবং এটি একটি দ্রুত পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হত, তবে এটিকে "রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাত থেকে স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের একটি উপায়" হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প পথ খোঁজার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটিতে দিল্লি, বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদের মতো অন্তত দু’টি জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বৈজ্ঞানিক, মনোবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাখার সুপারিশও করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ভারতেও এর আগে বহু বার মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে। কিন্তু সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডই বহাল থেকেছে দেশে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড হিসাবে ফাঁসি কতটা যথাযথ, তা নিয়ে ২০১৭ সালের অগস্টে প্রথম প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে ফাঁসির পরিবর্তে অন্য কোনও বিকল্প পন্থা খোঁজার নির্দেশ দিল।