Advertisement

Delhi : জেলে কেজরিওয়াল, মিটিংয়ে আসছেন না AAP মন্ত্রীরা; দিল্লি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে?

কিন্তু কেজরিওয়াল জেলে যাওয়ার পর নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারই লেফটান্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লেখেন।

Delhi
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 11 Apr 2024,
  • अपडेटेड 2:41 PM IST
  • জেলে কেজরিওয়াল, মিটিংয়ে আসছেন না AAP মন্ত্রীরা
  • দিল্লি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে?

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন জেলে। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। তবে তা খারিজ করে দেয় কোর্ট। আপাতত অরবিন্দ কেজরিওয়াল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলেই থাকবেন। কিন্তু কেজরিওয়াল জেলে যাওয়ার পর নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারই লেফটান্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লেখেন। তাঁর অভিযোগ, কেজরিওয়াল জেলে যাওয়ার পর তাঁর সরকারের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অথচ আম আদমি পার্টির মন্ত্রীরা সেই বৈঠকে অংশ নেননি।

চিঠিতে লেফটান্যান্ট গভর্নর লেখেন, মন্ত্রীরা কেন ওই বৈঠকে আসেননি তা অস্পষ্ট। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, দিল্লির নাগরিকদের জীবন, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধে নিয়ে যে সেই মন্ত্রীরা চিন্তিত নন। 

রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে দিল্লি? এইসব ঘটনাবলী দেখে অনেকেই মনে করছেন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে। মঙ্গলবার, বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়করা অভিযোগ করেন, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পর বিজেপি দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার চেষ্টা করছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, বিধায়ক মদন লাল দিল্লিতে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর আরও দাবি, লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেছেন, তিনি কেজরিওয়ালকে জেল থেকে সরকার চালাতে দেবেন না। বিধায়কদের আরও দাবি, আম আদমি পার্টিকে ভয় দেখানোর জন্য দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। 

দিল্লিতে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যেতে পারে? দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংবিধানের 239AB অনুচ্ছেদের অধীনে আসে। মন্ত্রিসভা সরকার চালাতে না পারলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারেন। অনুচ্ছেদ 239AB রাষ্ট্রপতিকে বিধানসভা স্থগিত বা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা দেয়। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে দিল্লিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আইনও করতে পারেন। বর্তমানে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা অভিযোগ করেছেন, বৈঠক ডাকা সত্ত্বেও মন্ত্রীরা তাতে যোগ দিচ্ছেন না। তবে, আম আদমি পার্টি সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বৈঠক ডাকার ক্ষমতা নেই। 

Advertisement

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর এলজি সাক্সেনা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, 'আমি দিল্লির মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, জেল থেকে সরকার চালানো হবে না।' তার বক্তব্যকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জেলে থাকার পরও কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী থেকে গেলে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা অনেকটাই নির্ভর করছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ওপর। যদি লেফটান্যান্ট গভর্নর মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলে থাকার কারণে সরকারি কাজ প্রভাবিত হচ্ছে, তাহলে তিনি 239AB ধারার অধীনে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারেন।

যদি এমন হয়... যদি লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করেন, তাহলে আম আদমি পার্টির কাছে আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। তার কারণও আছে। প্রথমটি হল জেলে গেলেও কেজরিওয়ালের উপর পদত্যাগের কোনও আইনি চাপ নেই। দ্বিতীয় কারণ হল, দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টির সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এরপরও যদি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয় তবে ১৯৯৪ সালের এস আর বোমাই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তা চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। সেই সিদ্ধান্তে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, যে কোনও সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে কি না তা কেবল হাউসেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সেই সময় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এস আর বোমাই। এবং ১৯৮৯ সালে, তৎকালীন গভর্নর পি. ভেঙ্কটা সুব্বাইয়া সরকারকে বরখাস্ত করেন এই বলে যে বোমাই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এরপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করেন তিনি। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement