রাষ্ট্রদূত আর. রবীন্দ্র, বুধবার জাতিসংঘে ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি (ডিপিআর) বলেছেন, "ভারত চলমান ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং বড় আকারের বেসামরিক প্রাণহানির বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
"ফিলিস্তিন প্রশ্ন সহ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি" নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সময় রবীন্দ্র এই বিবৃতি দিয়েছেন।
"ইজরায়েলে 7ই অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলা ছিল মর্মান্তিক এবং আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে তাদের নিন্দা জানাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতাদের একজন যিনি প্রাণহানির জন্য সমবেদনা জানিয়েছিলেন এবং নির্দোষ শিকার এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।"
"আমরা ইজরায়েলের সংকটের মুহুর্তে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছিলাম যখন তারা এই সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি হয়েছিল... নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা। চলমান সংঘর্ষে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা একটি বিষয়। গুরুতর এবং ক্রমাগত উদ্বেগের বিষয়,” তিনি বলেন, সব পক্ষকে অবশ্যই বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে হবে।
আর. রবীন্দ্র চলমান ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য ভারতের প্রচেষ্টার উপরও জোর দিয়েছেন, বলেছেন যে এটি এই অঞ্চলে ৩৮ টন খাদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।
"ভারত ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য ওষুধ এবং সরঞ্জাম সহ ৩৮ টন মানবিক পণ্য পাঠিয়েছে। ভারত সর্বদা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যার দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আলোচনা করেছে, যার ফলে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন এবং কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ফিলিস্তিন, নিরাপদ এবং স্বীকৃত সীমানার মধ্যে বসবাস করে, ইসরায়েলের সাথে শান্তিতে পাশাপাশি, ইসরায়েলের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ বিবেচনা করে... আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন অব্যাহত রাখি, যা বিস্তৃত সেক্টরকে কভার করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা এবং তথ্যপ্রযুক্তি সহ...এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে, ভারত ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে থাকবে...এই আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত ...," বললেন আর. রবীন্দ্র।
তিনি "ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ এবং স্থায়ী সমাধান" অর্জনের জন্য ভারতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তার বিবৃতিটি শেষ করেছেন।