চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হল গগনযানের ক্রু মডিউল। সঠিক সময়ে প্যারাস্যুট খুলে নেমে এল সেটি। গগনযানের আগে বড় টেস্টে সাফল্য পেল ইসরো(ISRO)। মহাকাশ থেকে যান যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবে, তখন এভাবেই প্যারাস্যুট খুলে যাবে। পুরো বিষয়টি ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তারই পরীক্ষা করল ইসরো। সাধারণত এই ধরনের মিশনের আগে এভাবে পরীক্ষা করাটাই নিয়ম। এমনিতেও ইসরোর হাতে খুব বেশি সময় নেই। আগামী ডিসেম্বরেই প্রথম লঞ্চ হওয়ার কথা গগনযান মিশনের। তাতে যদিও কোনও মহাকাশচারী থাকছেন না। প্রথম মিশনে আগে পুরো বিষয়টি একটি প্র্যাকটিস করে নেবেন ইসরোর বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদরা। তার পাশাপাশি এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশচারীবাহী মিশনে কী কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখার সুযোগ পাবে ইসরো।
এই প্রথম গগনযানের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ড্রপ টেস্ট (IADT-01) করা হল। শুধুমাত্র গগনযান মিশনের জন্যই বিশেষভাবে এই প্যারাশুট বেসড ডিসেলারেশন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
যৌথ উদ্যোগে সাফল্য
এই চিনুক হেলিকপ্টার সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যবহৃত হয়। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO), ইন্ডিয়ান নেভি এবং ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডের সঙ্গে কোঅর্ডিনেশনেই এইদিনের পরীক্ষা চালায় ইসরো।
কীভাবে টেস্টিং হল?
এদিন প্রথমে চিনুক হেলিকপ্টারে ঝুলিয়ে মক মডিউলটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে কেবিল ডিট্যাচ করে দেওয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিজে থেকেই প্যারাস্যুট খুলে গিয়ে সফলভাবে মক মডিউলটি নেমে আসে।
ইসরোর এক শীর্ষকর্তা জানান, এই টেস্টিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ প্যারাশুট ডিপ্লয়মেন্ট সিকোয়েন্সের কাজ খুঁটিয়ে দেখা।
মহাকাশে কবে মানুষ পাঠাবে ভারত?
২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই গগনযানের প্রথম লঞ্চের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেই ইসরো। সেই মিশনের পর ২০২৮ সালে মহাকাশচারীদের নিয়ে প্রথম মিশন করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
তিন সদস্যের ক্রু নিয়ে সেই মডিউল প্রায় ৪০০ কিমি উচ্চতার কক্ষপথে তিন দিন ধরে অবস্থান করবে। তারপর ক্রু মডিউল নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।