Advertisement

Jagdeep Dhankhar: 'হয় ইস্তফা নয় অনাস্থা,' একুশে জুলাই রাতে ধনখড়কে ফোন করেন এক মন্ত্রী! কে তিনি?

একুশে জুলাই সন্ধ্যায় আচমনকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। সেদিন তাঁর কাছে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন এসেছিল বলে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাব আনার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে।

জগদীপ ধনখড়জগদীপ ধনখড়
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 28 Jul 2025,
  • अपडेटेड 1:48 PM IST
  • জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা নিয়ে এখনও জট কাটেনি
  • তাঁকে অনাস্থা প্রস্তাবের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ
  • কোনও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফোন করেছিলেন তাঁকে

জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার পর সপ্তাহ ঘুরে গেল অথচ একাধিক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। পদত্যাগের ক্লাইম্যাক্সের আগে সংসদ ভবন, BJP দফতর, উপরাষ্ট্রপতি অফিসে ঠিক কী কী ঘটেছিল? আজ তকের প্রতিবেদনে উঠে এল উপরাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ইনসাইড স্টোরি। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন
গত সোমবার, ২১ জুলাই BJP এবং উপরাষ্ট্রপতির দফতরের মধ্যে বিশ্বাস তলানিতে এসে পৌঁছেছিল। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রীর থেকে ফোন পেয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। আজ তকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই মন্ত্রী ফোনে বলেছিলেন, 'হয় আপনি ইস্তফা দিন, নয়তো আপনার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে কেন্দ্র।'

সচিবদের সামনেই মন্ত্রীকে বকাবকি
আজ তকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁকে সচিবদের সামনেই বকাবকি করা হয়। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সময় চাইলেও উপরাষ্ট্রপতি একঘর লোকের সামনেই তাঁর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। ঘটনাটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

কী হয়েছিল ২১ জুলাই?
২১ জুলাই দুপুর ১২.৩০ মিনিটে বিজেনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন না জেপি নাড্ডা এবং কিরেণ রিজিজু। এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসবেন না, তা আগাম জানানো হয়নি উপরাষ্ট্রপতি। তবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল, এল মুরুগান। জগদীপ ধনখড় ওই বৈঠকে জানিয়েছিলেন, বিরোধী শিবির চাইছে 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সংসদের বিতর্কসভায় উপস্থিত থাকুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিতেল ৪.৩০ নাগাদ ফের ডাকা হয় বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠক। সেখানে কিরেণ রিজিজু এবং জেপি নাড্ডা জানিয়ে দেন, কমিটির দায়িত্ব কবে-কখন বিতর্ক হবে তা নির্ধারিত করা। কোন কোন সাংসদ বিতর্কে অংশ নেবেন, তা সিদ্ধান্ত নেয় না কমিটি। আজ তকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনাও একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। পাল্টা উপরাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, আপনি গিয়ে তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে আসুন উনি উপস্থিত থাকবেন কি না।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন
সূত্রের খবর, জগদীপ ধনখড় ইস্তফা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি শাসকদলের সাংসদদের জানানো হয়। একইসঙ্গে গত ৬ মাস ধরে উপরাষ্ট্রপতি কোন কোন বিষয়ে শাসকদলকে অসহযোগিতা করেছেন, তা-ও স্মরণ করানো হয়। 

আজ তকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই রাতে দফায় দফায় অমিত শাহ, রাজনাথ সিং দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন কিরেণ রিজিজু এবং জেপি নাড্ডা, নির্মলা সীতারমন, শিবরাজ সিং চৌহান, মনোহর লাল খট্টরও। 

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, জগদীপ ধনখড়কে আরও একবার বোঝানোর চেষ্টা করা হবে কিন্তু, বিচারপতি ভার্মার ইমপিচমেন্ট নিয়ে বিরোধী সাংসদদের ১৪৫ জনের স্বাক্ষরের পর তিনি সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওযার সিদ্ধান্ত নিতেই ক্ষুব্ধ হন শাসক শিবিরের সাংসদরা। তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন পান ধনখড়। আজ তকের প্রতিবেদন সূত্রে খবর, তাঁকে বলা হয়, 'হয় ইস্তফা দিন নয়তো শাসক শিবিক অনাস্থা প্রস্তাব আনবে।' এর ২০-২৫ মিনিট পরই পদত্যাগ করেন ধনখড়। 
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement