Advertisement

Jaipur Hospital Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে ICU, জয়পুরের হাসপাতালে ঝলসে মৃত ৭ রোগী, কীভাবে লাগল আগুন?

জয়পুরের হাসপাতালের ICU-তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ রোগীর শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের ICU-তে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা? কী জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? কী বক্তব্য রোগী পরিবারদের?

জয়পুরের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড জয়পুরের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড
Aajtak Bangla
  • জয়পুর ,
  • 06 Oct 2025,
  • अपडेटेड 8:46 AM IST
  • জয়পুরের হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
  • ঝলসে মৃত্যু হল ৬ রোগীর
  • কীভাবে লাগল এই ভয়ঙ্কর আগুন

রাজস্থানের রাজধানী শহর জয়পুরের সওয়াই মান সিং অর্থাৎ SMS হাসপাতালে রবিবার রাতে ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘটনা। ICU-তে অগ্নিকাণ্ডের জেরে হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের দ্বিতীয় তলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঝলসে মৃত্যু হয় ৬ রোগীর। ঠিক কীভাবে লাগল আগুন? কী ঘটেছিল ICU ওয়ার্ডে। 

জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১টা বেজে ১০ মিনিটে ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলের নিউরো ওয়ার্ড থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। রোগীদের তরফে হাসপাতাল স্টাফেদের ধোঁয়া বের হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন রোগীরা। প্রাণ বাঁচাতে এদিক-সেদিক দৌড়তে শুরু করেন পরিবারের সদস্য ও হাসপাতাল স্টাফেরা। ততক্ষণে ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। 

কীভাবে লাগল আগুন?
জানা যাচ্ছে, ICU ওয়ার্ডে শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণেই এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

রাস্তায় চলে আসেন রোগীরা
আগুন বাড়তে শুরু করায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের বেড থেকে রোগীকে তুলে রাস্তায় নিয়ে চলে আসেন। হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে রোগীদেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে দমকলের গাড়িগুলিও ততক্ষণে পৌঁছে যায় হাসপাতালে। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী?
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিজের প্রিয়জনকে হারানো এক ব্যক্তির কথায়, 'আমার মাসতুতো ভাই মারা গিয়েছে। ওর বয়স ছিল মাত্র ২৫। রাত তখন ১১টা ২০ মিনিট হবে, ICU থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। আমরা ওয়ার্ডে থাকা ডাক্তারদের বলেছিলাম, রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ততক্ষণে ধোঁয়া আরও বাড়তে শুরু করেছে।' তিনি আরও বলেন, 'ধোঁয়ায় এতটাই কষ্ট হচ্ছিল সকলের, রোগীদের বাইরে বের করে আনাও সম্ভব হচ্ছিল না। তা সত্ত্বেও ৪-৫ জনে বাইরে নিয়ে যাই। আমার মাসতুতো ভাই সুস্থ হয়ে উঠছিল। ১-২ দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথাও ছিল। তার আগেই প্রাণ চলে গেল ছেলেটার।'

Advertisement

হাসপাতালের প্রতিক্রিয়া
শ্বাস বন্ধ হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরও অনেকে। SMS হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের প্রধান অনুরাদ ধাকড় বলেন, 'ট্রমা সেন্টারের দ্বিতীয় তলে ২টি ICU রয়েছে। একটি ট্রমা ICU এবং একটি সেমি ICU। মোট ২৪ জন রোগী ছিলেন। ১১ জন ট্রমা ICU এবং ১৩ জন সেমি ICU-তে। ট্রমা ICU-তে শর্ট সার্কিট হয়েছিল। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। বেশিরভাগ রোগীই সেখানে অচেতন অবস্থায় ছিলেন কারণ তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।'

ওই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীদের সুরক্ষাই তাদের কাছে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর ফলে ফের একবার সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement