
জম্মু ও কাশ্মীর নওগাম থানায় বিস্ফোরণ নিছকই 'দুর্ঘটনা' বলে বর্ণনা ডিজিপি নলিন প্রভাতের। সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, থানায় বিস্ফোরণ কোনও সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত বা আক্রমণ নয়। বরং এটি কেবল একটি দুর্ঘটনা যা এফএসএল টিম নমুনা সংগ্রহ করার সময় ঘটেছিল।
তিনি বলেন, ফরিদাবাদ থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিস্ফোরকগুলির নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া দু'দিন ধরে চলছিল। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে। ডিজিপি নলিন প্রভাত বলেন, "এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।"
'সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র বা আক্রমণের যোগ নেই'
ডিজিপি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই ঘটনায় কোনও সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র বা বাইরের হস্তক্ষেপ জড়িত নয়। দুর্ঘটনায় ন'জন মারা গেছেন এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। তাই মৃতের সংখ্যা এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এই ঘটনায় মোট ৯ জন মারা যান, যার মধ্যে ১ জন এসআইএ অফিসার, ৩ জন এফএসএল সদস্য, ২ জন ক্রাইম উইং কর্মী, ২ জন রাজস্ব কর্মকর্তা এবং দলের সাথে উপস্থিত একজন দর্জি ছিলেন। এছাড়াও, ২৭ জন পুলিশ সদস্য, দু'জন রাজস্ব কর্মকর্তা এবং তিনজন সাদারণ নাগরিক আহত হয়েছেন। আহতদের সকলকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।
"অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজটি করা হচ্ছিল, কিন্তু..."
ডিজিপি নলিন প্রভাত বলেছেন, ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক এবং রাসায়নিক পদার্থ তদন্তের জন্য নওগাম থানায় আনা হয়। এর সংবেদনশীল প্রকৃতি বিবেচনা করে, সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছিল, কিন্তু গতকাল রাতে ভুলবশত বিস্ফোরণ ঘটে।
ডিজিপির মতে, এই ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে নওগাম থানাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শব্দ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা গিয়েছিল
বিস্ফোরণের ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ শ্রীনগরে বিস্ফোরণের প্রতিধ্বনি কয়েক কিলোমিটার দূরেও শোনা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ স্টেশন থেকে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জেলা হাসপাতাল সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।