Advertisement

Delhi Blast: দিল্লি ব্লাস্টের ঘটনায় স্ক্যানারে কাশ্মীরের 'টিকটিক করা টাইম বোমা', কে এই ডা: নিসার?

একটা সময়ে কাশ্মীরের 'টিকটিক করা টাইম বোমা' বলা হত ডা: নিসার হাসানকে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার সে-ই স্ক্যানারে। এই ডাক্তাররই কি আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে উমরের মেন্টর ছিল?

কে এই ডা: নিসার? কে এই ডা: নিসার?
Aajtak Bangla
  • জম্মু,
  • 15 Nov 2025,
  • अपडेटेड 10:56 AM IST
  • তাকে বলা হত কাশ্মীরের 'টিকটিক করা টাইম বোমা'
  • সেই ডা: নিসার হাসান এখন স্ক্যানারে
  • দিল্লি ব্লাস্টে উমরের মেন্টর ছিল এই নিসার হাসান?

ফের একবার স্ক্যানারে শ্রীনগরের SMHS হাসপাতালের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা: নিসার উল হাসান। লালকেল্লায় বিস্ফোরণের পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে 'হোয়াইট কলার টেররিজম' ছড়ানো 'ফরিদাবাদ মডিউল'-এর ডাক্তাররা। এই মডিউলের সঙ্গে নিসার উল হাসানের লিঙ্ক রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। 

২০২৩ সালে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে সরকারি হাসপাতালের এই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। পেশাগত জীবনে বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত সে। বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার খবরও প্রকাশ্যে আসে বহুবার। 

সোপরের আচাবল গ্রামে ডা: নিসার উল হাসানের বাড়ি। ১৯৯১ সালে শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS পাশ করে সে। ২০০১ সালে শের-এ-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট থেকে MD পাশ করে। বছরের পর বছর ধরে তার বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিরাপত্তা এজেন্সি বারবার নজরদারি চালিয়েছে তার উপর। জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাকে 'টিকিং টাইম বোমা' বলেও উল্লেখ করেছেন। 

বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিতে ঝোঁক
SMHS হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক থাকাকালীন তার উপর কড়া নজর রেখেছিল নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বরাবরই যোগাযোগ ছিল এই ডাক্তারের। এদিকে ডা. নিসার হাসান ছিল কাশ্মীরের ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। 

২০১৩ সালের মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে ভুয়ো ওষুধ কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে ডা: নিসার হাসান ধর্মঘটের ডাক দেয়। ওই ঘটনায় রোগীদের মৃত্যুর জেরে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। ধর্মঘটটি রাজনৈতিক রঙ নেয় যখন হুরিয়ত কনফারেন্স সহ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো সমর্থন জানায়।

২০১৪ সালের মে মাসে ওমর আবদুল্লা সরকার তাকে সাসপেন্ড করে। অভিযোগ ছিল, সে উস্কানিমূলক আচরণ এবং রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্যও করেছিল। সে সরকারি কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল, কর না দিতে পরামর্শ দিয়েছিল। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তার উপর নজর রাখলেও পরবর্তী নির্বাচিত সরকার যেমন NC-কংগ্রেস জোট ও পরে PDP-BJP জোট তার বিরুদ্ধে সাসপেনশনের বাইরে আর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

৪ বছর সাসপেন্ড থাকার পর ২০১৮ সালের অগাস্টে সে পুনর্বহাল হয়।

Advertisement

‘টিকটিক করা টাইম বোমা’
২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ডা: নিসার খানিক ব্যাকফুটে থেকে শুধু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করত। তবে তার পুরনো মন্তব্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ঝোঁক ২০২৩ সালে আবার প্রকাশ্যে আসে। যার ভিত্তিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাকে একটি 'টিকটিক করা টাইম বোমা' বলে আখ্যা দেন।

জইশ-ই-মহম্মদেরর তথাকথিত 'হোয়াইট-কলার সন্ত্রাস' চক্রের তদন্তে এখন আবার তার নাম উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে ডা: নিসার হাসান আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেল মেডিসিনের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিল। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন তার সঙ্গে ডা. মহম্মদ উমর নবির সম্পর্ক কী ছিল। এই ডাক্তারই লালকেল্লা বিস্ফোরণ ষড়যন্ত্রের মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। সে ১ বছরেরও বেশি সময় ডা: নিসার হাসানের অধীনে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজ করত।

কী বললেন স্ত্রী?

ইন্ডিয়া টুডে-কে ডা. নিসারের স্ত্রী ডা. সুরাইয়া জানান, নিসারের সঙ্গে উমরের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। তাঁর দাবি, উমর নবির ঘনঘন অনুপস্থিতি, রোগীদের না দেখা এবং ছাত্রদের পড়াতে অবহেলার কারণে ডা. নিসার অসন্তুষ্ট ছিল। এই কারণেই তাকে অন্য ওয়ার্ডে বদলি করা হয়। তিনি আরও জানান, তাঁর স্বামী ‘পলাতক’ নয়, বরং     NIA তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement