সোমবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে একজন ভারতীয় সেনা আধিকারিক সহ ৪জন নিরাপত্তা কর্মী শহিদ হয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এর জওয়ানরা সোমবার সন্ধ্যা ৭:৪৫ নাগাদ দেশা বনাঞ্চলে একটি যৌথ অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেন। সেই সময়েই হঠাৎ গুলি-পাল্টা গুলি শুরু হয়।
এই সময়ই একজন অফিসার সহ চার ভারতীয় সেনা সদস্য এবং একজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। প্রাথমিকভাবে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে এই গুলির লড়াই চলে।
জখম জওয়ানদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের অবস্থা 'সঙ্কটজনক' ছিল। হাসপাতালে ৪ জওয়ান শহিদ হন হন।
উল্লেখ্য, এই নির্দিষ্ট এলাকা এখনও দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদী সম্ভবত লুকিয়ে আছে। তাদের খোঁজে এখনও অভিযান চলছে।
সেনাবাহিনীর 16 কর্পস, যা হোয়াইট নাইট কর্পস নামেও পরিচিত, তাঁরাই গতকাল পাল্টা আঘাত হানেন। রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসবাসীদের জোরালো জবাব দেন জওয়ানরা। হোয়াইট নাইট কর্পস টুইটে এই বিষয়ে জানিয়েছে।
সেনা কর্তাদের মতে, এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি রয়েছে। এমনই খবর ছিল তাঁদের কাছে। তার ভিত্তিতেই অভিযান শুরু করা হয়েছিল।
হোয়াইট নাইট কর্পস বলেছে, 'আরও বেশি জওয়ানদের ওই এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিযান জারি রয়েছে।'
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী হাই অ্যালার্টে রয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী গত ১৪ জুলাই জুলাই কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একটি অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা রুখে দেয়। সেই সময় গুলির লড়াইয়ে তিন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেন জওয়ানরা।
৮ জুলাই, কাঠুয়া জেলার একটি দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় সন্ত্রাসবাদীরা একটি সেনা কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনায় একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার সহ পাঁচজন সেনা কর্মী শহিদ হন। আরও অনেকে আহত হন।
৬ জুলাই, কুলগাম জেলায় দু'টি এনকাউন্টারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ছয় সন্ত্রাসবাদী খতমহয়। পৃথক এক এনকাউন্টারে দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন।
অতি সম্প্রতি, ডোডায়, ২৬ জুন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন সন্ত্রাসবাদী মারা যায়। সেনাবাহিনী চার সন্ত্রাসবাদী আছে এমন একটি আস্তানা ঘেরাও করার পরেই বন্দুকযুদ্ধ হয়।