ধর্মীয় বক্তা ও সুপরিচিত কাহিনীকার জয়া কিশোরীকে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল একটি ভিডিও, যেখানে তাকে দেখা গিয়েছিল একটি দামী ব্যাগ হাতে নিয়ে। সেই ব্যাগটির ব্র্যান্ড ও দাম নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলা হয়, অভিযোগ উঠে সেটি চামড়ার। এই প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ব্যাগটি কাস্টমাইজড, এবং এতে চামড়ার কোনও ব্যবহারের প্রমাণ নেই।
সংবাদ সংস্থাকে জয়া কিশোরী জানান, "আমি কোনোদিনও চামড়া ব্যবহার করিনি, কোনোদিনও করব না।" ব্যাগটি সম্পূর্ণরূপে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করানো হয়েছে, যেখানে তার নামও খোদাই করা আছে।
‘আমি সাধ্বী নই, কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী’
জয়া কিশোরী ট্রোলিংয়ের জবাবে আরও বলেন, তিনি কখনও দাবি করেননি যে তিনি সাধু বা সাধ্বী। বরং তিনি একজন সাধারণ মেয়ে, সাধারণ পরিবারের মেয়ে, যার লক্ষ্য ও পরিশ্রম সাধারণ মানুষের মতোই। তিনি বলেন, "যারা আমার কাহিনী শুনেছেন তারা জানেন যে, আমি কখনো বলি না যে সবকিছুই মায়া এবং অর্থ উপার্জন বন্ধ করতে হবে। আমি নিজেও কঠোর পরিশ্রম করি এবং সবার উদ্দেশ্যে বলি, কঠোর পরিশ্রম করুন, অর্থ উপার্জন করুন, একটি ভাল জীবন যাপন করুন।"
জয়া কিশোরীর এই মন্তব্য অনেকের কাছে প্রেরণাদায়ক হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি বিশেষভাবে তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, "যুবকদের বলছি কঠোর পরিশ্রম করুন, অর্থ উপার্জন করুন, নিজের জীবনকে স্বপ্নের মতো সুন্দর করুন।"
ট্রোলিং ও তার উত্তর: শিক্ষা সবার জন্য
জয়া কিশোরীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ ট্রোলিংকে ভিত্তিহীন বলে মনে করেছেন এবং তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, নামী ব্র্যান্ডের ব্যাগ ব্যবহার করলেও সেটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। জয়া কিশোরীর মতো ব্যক্তিত্বের এ ধরনের মন্তব্য এবং তার সততার প্রমাণ অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার রূপ নিয়েছে।