সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বারহেত আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হেমন্তের দাখিল করা হলফনামা অনুসারে পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর বয়স সাত বছর বেড়েছে। ২০১৯ সালে হেমন্তের বয়স তাঁর মনোনয়নপত্রে ৪২ বছর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, তবে এ বছর তাঁর মনোনয়নপত্রে বয়স ৪৯ বছর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন হেমন্তের বয়স নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এবং তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিজেপির কো-ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এনিয়ে সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেন,'আমি বলছি হেমন্ত সোরেনের মনোনয়ন বাতিল করা উচিত নয়। জনগণই তাঁকে পরাজিত করবে।' বিজেপির রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি বলেছেন, হেমন্ত সোরেন সবসময়ই এমন করেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি। এটা ভুল। অন্তত হলফনামা ঠিকঠাক রাখতে হবে। একইসঙ্গে জেএমএম নেতা মনোজ পান্ডে বলেন, জেএমএম কিছু গোপন করে না। সব কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। নথি দেওয়ার সময় রিটার্নিং অফিসার নীরব ছিলেন এবং এখন হারার ভয়ে বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ভুয়ো মানুষ নই। অনেক বিজেপি নেতা নথিতে জাল ডিগ্রি রেখেছেন। জালিয়াতি বিজেপি করে, আমরা নয়।
হেমন্ত সোরেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা। তিনি সাহেবগঞ্জের বারহেত আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রাজ্যে জেএমএম শাসন করছে। কংগ্রেসও জোটের অংশ। এবারের নির্বাচন আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে।
গামালিয়েল হেমব্রমকে নিয়ে বাজি ধরেছে বিজেপি
হেমব্রম ২০১৯ সালে বারহেত থেকে AJSU পার্টির টিকিটে নির্বাচনে লড়ে ২,৫৭৩ ভোট পেয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী হেমব্রম বারহেত আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একটি চ্যালেঞ্জ, কিন্তু বারহেতের মানুষ এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানকার মানুষ এখনও রাস্তা ও পানীয় জলের মতো মৌলিক সুবিধার জন্য লড়াই করছেন। আমি পরিকাঠামো, প্রধানত রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ এবং স্কুল শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করব।'
হেমন্ত সোরেন বারহেত (ST) আসনের বর্তমান বিধায়ক। তিনি ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাইমন মাল্টোকে ২৫,৭৪০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। হেমন্ত সোরেন দুমকা আসনেও জিতেছিলেন। পরে তিনি দুমকা আসন ছেড়ে দেন।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ৮১টি আসনের জন্য ১৩ ও ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে এবং ২৩ নভেম্বর ভোট গণনা করা হবে৷ মঙ্গলবার এখানে দ্বিতীয় দফার ভোটের মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মোট ৬৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। মঙ্গলবার ৩৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৯৭ জন প্রার্থী তাঁদের নথি জমা দিয়েছেন। ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এই আসনে ভোট হবে। বুধবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে, প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন ১ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দফায় ৭৪৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইকালে ৬২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। মোট ৮০৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।