Advertisement

Jyoti Malhotra: জ্যোতির পর প্রিয়াঙ্কা, গোয়েন্দাদের নজরে আরও এক ইউটিউবার; চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারির পর এবার ওড়িশার পুরীর ইউটিউবার প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির নাম উঠে এল পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তি মামলায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB) এবং পুরী পুলিশের যৌথ তদন্তে এখন নজরে রয়েছে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ এবং সম্ভাব্য তথ্য লিকের বিষয়টি।

জ্যোতি ও প্রিয়াঙ্কা।-ফাইল ছবিজ্যোতি ও প্রিয়াঙ্কা।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 18 May 2025,
  • अपडेटेड 6:07 PM IST
  • হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারির পর এবার ওড়িশার পুরীর ইউটিউবার প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির নাম উঠে এল পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তি মামলায়।
  • কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB) এবং পুরী পুলিশের যৌথ তদন্তে এখন নজরে রয়েছে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ এবং সম্ভাব্য তথ্য লিকের বিষয়টি।

হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারির পর এবার ওড়িশার পুরীর ইউটিউবার প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির নাম উঠে এল পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তি মামলায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB) এবং পুরী পুলিশের যৌথ তদন্তে এখন নজরে রয়েছে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ এবং সম্ভাব্য তথ্য লিকের বিষয়টি।

জ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারতীয় সেনার কৌশলগত অবস্থান ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থানের ছবি তুলে পাকিস্তানের কাছে পাঠিয়েছেন। তার সফরকালীন পুরী ভ্রমণের সময়কার কিছু ভিডিও ও ছবি এখন তদন্তের মূল অংশ হয়ে উঠেছে। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন, এই সময়েই প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বা পেশাগত যোগাযোগ ছিল।

পুরীর কন্টেন্ট ক্রিয়েটর প্রিয়াঙ্কাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও প্রিয়াঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে জানান, “জ্যোতি শুধুই ইউটিউব জগতে আমার সহকর্মী ছিল। আমি কখনও জানতাম না, সে শত্রুদেশের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে। আমি পুরোপুরি তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

সূত্রের খবর, জ্যোতি সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ পুরী সফরে এসে জগন্নাথ মন্দির, সরকারি ভবন এবং আশপাশের এলাকা ঘুরে ভিডিও এবং ছবি তোলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এইসব ভিজ্যুয়াল পাকিস্তানের অপারেটিভদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।

এই প্রেক্ষাপটে, ওড়িশা থেকে হরিয়ানা পর্যন্ত তৎপরতা বাড়িয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে ভুবনেশ্বর ও অন্যান্য পর্যটন এলাকা, যেখানে বিদেশি নাগরিক এবং কনটেন্ট নির্মাতাদের আনাগোনা বেশি। ড্রোন, DSLR ও প্রফেশনাল ক্যামেরা ব্যবহারের ওপরও কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির একটি নতুন রূপ। মোবাইল স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই গুপ্তচররা সরাসরি দেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করতে পারে।

গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “আজকের গুপ্তচর সীমান্ত পেরিয়ে আসে না, সে আপনার মোবাইল স্ক্রিনেই লুকিয়ে থাকে।”

তদন্তকারীরা এখন জ্যোতি ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া কথোপকথন, ফাইল শেয়ারিং এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডেটা বিশ্লেষণ করছেন। যদি প্রমাণ মেলে, তাহলে এই মামলায় আরও গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে। তদন্ত এখন বহুদূর বিস্তৃত হয়েছে, এবং গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা একাধিক রাজ্যে নজরদারি চালাচ্ছেন।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement