Jyoti Malhotra: পাকিস্তানের ভ্রমণ সংস্থার স্পনশরশিপে ঘুরে বেরিয়েছিল জ্যোতি, সামনে নয়া তথ্য
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, মালহোত্রার একাধিক বিদেশভ্রমণ স্পনসর করত সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা ওয়েগো (Wego), যা পাকিস্তানেও বৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে এবং সম্প্রতি আজারবাইজান পর্যটন বোর্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে।
- পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
- জানা গিয়েছে, মালহোত্রার একাধিক বিদেশভ্রমণ স্পনসর করত সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা ওয়েগো (Wego), যা পাকিস্তানেও বৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে এবং সম্প্রতি আজারবাইজান পর্যটন বোর্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, মালহোত্রার একাধিক বিদেশভ্রমণ স্পনসর করত সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা ওয়েগো (Wego), যা পাকিস্তানেও বৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে এবং সম্প্রতি আজারবাইজান পর্যটন বোর্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে।
সন্দেহজনক সংযোগ: পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইউটিউবার
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ৩৩ বছর বয়সি এই ভ্রমণ ভ্লগার 'ট্র্যাভেল উইথ জেও' নামে ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন, যার ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১.৩২ লক্ষ ফলোয়ার এবং ইউটিউবে ৪ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। বিভিন্ন ভিডিওতে তাকে ওয়েগো অ্যাপের প্রচার করতেও দেখা গেছে। হরিয়ানা পুলিশ এখন তার ভ্রমণ স্পনসরদের সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওয়েগো মাত্র দুই দিন আগে আজারবাইজান পর্যটন বোর্ডের সঙ্গে একটি নতুন অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। আজারবাইজান সম্প্রতি প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছে এবং ভারতের 'অপারেশন সিন্দুর'-এর নিন্দা করেছে। উল্লেখ্য, এই সামরিক অভিযানটি ৭ মে শুরু হয়েছিল, পহেলগামে এক জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, যেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
আরও পড়ুন
গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের সম্ভাবনা
পুলিশ জানিয়েছে, মালহোত্রা হলেন সেই ১১ জনের একজন, যাদের উত্তর ভারত (পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ) থেকে গত দুই সপ্তাহে সন্দেহজনক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, একটি পাকিস্তান-সংশ্লিষ্ট গুপ্তচর নেটওয়ার্ক এই অঞ্চলে সক্রিয়।
ওয়েগো কে?
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়েগোর সদর দপ্তর সিঙ্গাপুরে, এবং দুবাই, বেঙ্গালুরু ও জাকার্তায় আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। এটি একটি ভ্রমণ মেটাসার্চ প্ল্যাটফর্ম, যা MENA (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি বিমান সংস্থা, হোটেল এবং অন্যান্য ভ্রমণ সাইটের মধ্যে তুলনামূলক দাম খুঁজে পেতে সাহায্য করে। পাকিস্তানে এটি IATA অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে এবং সরাসরি বুকিং পরিষেবা ("Book on Wego") চালু করেছে।
সন্দেহ দানা বাঁধছে
যদিও ওয়েগোর পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সরাসরি সংযোগের প্রমাণ এখনো হাতে আসেনি, তথাপি এই প্রেক্ষাপটে তাদের কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। বিশেষ করে, আজারবাইজানের মতো পাকিস্তানপন্থী দেশের সঙ্গে তাদের নতুন অংশীদারিত্ব এই সন্দেহ আরও ঘনীভূত করছে।