প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুবক্তা, আশাকরি এবিষয়ে কেন্দ্রের শাসক-বিরোধী সকলেই একবাক্যে দ্যর্থহীন সমর্থন করবেন। আগেও অনেকে করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখনই বাংলার বিষয়ে বলেন, বা কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, তখন এই দেশের মনীষীদের লেখা বা কবিতা পাঠ করেন। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের কবিতা তাঁকে প্রায়শই আওড়াতে দেখা যায়। কিন্তু আজ, বুধবারের মোদীর অন্য এক দিক দেখা গেল। কংগ্রেসকে বিঁধতে শোনালেন বিখ্যাত উর্দু কবি বা শায়ের কাকা হাতরসির লাইন।
আগা-পিছা দেখকর...
লোকসভায় বিরোধীদের আক্রমণ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সংসদে বিখ্যাত হাস্যরস কবি কাকা হাতরাসির কয়েকটি লাইন আবৃত্তি করেন। এ নিয়ে অনেক হাসাহাসি করেন। লাইনগুলি ছিল, 'আগা-পিছা দেখকর কিউ হতে গমগিত, জ্যায়সা জিসকি ভাবনা, ব্যায়সা দিখে সিন।' অর্থাৎ যার যেমন চিন্তা, সে তেমনটাই দেখতে পায়।
দুই শিকারীর গল্প
এর পরেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী দুই শিকারীর গল্প শোনালেন। এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন। মোদী বললেন, 'একবার দুই যুবক বনে শিকার করতে গিয়ে গাড়ি থেকে বন্দুক ইত্যাদি খুলে কিছুক্ষণ হাঁটতে শুরু করে। তাদের মনে হয় তাঁদের হাত-পা একটু সোজা করা উচিত। তাদের আরও যেতে হবে। সেইসময় জঙ্গলে বাঘ ছিল। যুবকেরা ভেবেছিল সামনে গেলে বাঘ দেখতে পাবে। তারা নিচে নেমে গেল। বন্দুক ইত্যাদি ফেলে রেখে।' এই গল্প শুনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, তিনিও বেকারত্ব দূর করার নামে আইন দেখিয়েছেন। তাঁর দাবি, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল ছিল স্বাধীনতার ইতিহাসে সর্বাধিক কেলেঙ্কারির দশক।
কংগ্রেসের কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি সমীক্ষা হবে
পিএম মোদী বলেছেন যে গত বছরগুলিতে হার্ভার্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা হয়েছিল। এই গবেষণার বিষয় হল 'ভারতের কংগ্রেস পার্টির উত্থান ও পতন'। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আমি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে শুধু হার্ভার্ডে নয়, বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও কংগ্রেসের ধ্বংস নিয়ে একটি গবেষণা হবে এবং যারা ডুবে যাবে তাদের নিয়েও গবেষণা করা হবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী কবি দুষ্যন্ত কুমারের উল্লেখ করে বলেন, 'তোমার পায়ের তলায় মাটি নেই, আশ্চর্যের বিষয় তুমি এখনও নিশ্চিত নও।' নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের উদ্দেশে বলেন, মাথা-পা ছাড়া কথা বলার অভ্যাসের কারণে, তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না যে, তারা তাদের নিজেদের কথারই বিরোধিতা করে চলেছে।