
কমলা পসন্দ এবং রাজশ্রী পান মশলার মালিক কমল কিশোরের পরিবারে অঘটন। তাঁর পুত্রবধূ দীপ্তি চৌরাসিয়া আত্মহত্যা করেছেন। দিল্লির বসন্ত বিহারের ঘরেই বছর ৪০-এর দীপ্তির ঝুলন্ত দেহ মেলে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, তিনি একটি সুইসাইড নোট ছেড়ে গিয়েছেন। সেখানে প্রেম ও ভরসা নিয়ে লিখে গিয়েছেন নিজের মত। তিনি একটি নোটে লিখে যান, 'যখন প্রেম নেই, ভরসা নেই, তখন সেই সম্পর্কে থাকার বা বেঁচে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।'
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হল, কেন দীপ্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? তাঁর জীবনে ঠিক কী সমস্যা চলছিল? আর এই সব প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে পুলিশ। সেই মতো শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত। এখন দেখার পুলিশ ঠিক কী জানায়। যদিও এখনও তারা এই বিষয়টা সম্পর্কে বিশেষ কিছুরই খোঁজ দেয়নি।
আর দেশের এত বড় এক শিল্পপতির বাড়ির এমন ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। বিশেষত, যেখানে সুইসাইড নোটে প্রেম, ভালোবাসা এবং ভরসার কথা ওঠে, তখন তো সেই আত্মহত্যার দিকে নজর থাকতে বাধ্য। এখন দেখার পুলিশ কত তাড়াতাড়ি এই তদন্ত সেরে ফেলে। তারপর তাদের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে কী জানান হয়।
কাউকে দোষ দেওয়া হয়নি সুইসাইড নোটে
২০১০ সালে দীপ্তির সঙ্গে কমল কিশোরের পুত্র হরপ্রীত চৌরাসিয়ার বিয়ে হয়। তাদের একটি ১৪ বছরের পুত্রও রয়েছে।
সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে কারও নাম নেননি দীপ্তি। অর্থাৎ এই আত্মহত্যার জন্য তিনি কারও দিকে তোলেননি আঙুল। যদিও সুইসাইড নোটে শুধু প্রেম, ভালোবাসা এবং ভরসার বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এখনও তদন্ত করছে পুলিশ। তারপরই এই বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানান যাবে।