সদ্য লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদ ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর ওপর হেনস্থার অভিযোগ আনলেন। সাংসদ ভবনের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কঙ্গনা অভিযোগ করেছেন যে বৃহস্পতিবার হিমাচল থেকে দিল্লিতে যাচ্ছিলেন তিনি UK707 বিমানে। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সিক্যুরিটি চেকিংয়ের পর বোর্ডিংয়ের সময় সিআইএসএফের মহিলা কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরের ওপর কঙ্গনা তাঁকে চড় মারার অভিযোগ আনেন। এই অভিযোগের পরই কুলবিন্দর কৌরকে সিআইএসএফ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয় পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।
দিল্লিতে নামার পর কঙ্গনা তাঁর সঙ্গে ঘটা গোটা ঘটনাটির বিবরণ দেন সিআইএসএফের অন্যান্য আধিকারিক সহ ডিজি নীনা সিংকে। কঙ্গনা তাঁর অভিযোগে দাবি করেছেন যে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় পর্দা দেওয়া জায়গায় কুবিন্দর কৌর তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং তাঁকে আচমকাই চড় মারেন বলে অভিযোগ করেন। এরপর কঙ্গনার সঙ্গে থাকা ময়ঙ্ক মধুর ওই কনস্টেবলকে চড় মারার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। কনস্টেবল কুলবিন্দর সিংকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনাটি চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা হচ্ছে খতিয়ে।
মান্ডি থেকে এই প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন কঙ্গনা। হিমাচল প্রদেশে তাঁর এলাকা মান্ডিতেই বিজেপি প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউডের কুইন। ঘরের মেয়েকেই ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠাচ্ছেন মান্ডিবাসী। কিন্তু প্রথমদিন দিল্লি যাওয়ার পথেই ঘটে গেল বিপত্তি। প্রসঙ্গত, রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই জয় নিজের দখলে রাখলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সিনেমার জগত থেকে রাজনীতির পথে পা বাড়িয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ হয়েছেন সফল, কেউ কেউ আবার ফিরে গিয়েছেন নিজের জগতে। কঙ্গনার ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটাই হবে বলে সমালোচকদের একাংশের ধারণা ছিল। কিন্তু ৪ জুন, ২০১৪, সকাল থেকেই সকলের চোখে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডির ছবিটা স্পষ্ট হতে থাকে।
কঙ্গনা রানাওয়াতের মোট প্রাপ্ত ভোট ৫,২১,৭৪০। ৭২ হাজার কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং-কে পিছনে ফেলে দিলেন। জেতার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লিখলেন, সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমার প্রতি এই আস্থা ও বিশ্বাস দেখানোর জন্য। এই জয় আপনাদের সকলের। এই জয় প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির প্রতি আস্থার। কঙ্গনার এই পোস্টের তলায় তাঁর ভক্তদের মন্তব্যের ঢল নামে। কেউ লিখলেন, কুকথা বলা মানুষেরা কোথায় গেলেন? আবার কেউ লিখলেন, রানি জিত গ্যায়ি। কেউ আবার লিখলেন, মাণ্ডির রানির জয়।