
কর্নাটকে কুর্সি নিয়ে দড়ি টানাটানির জেরে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্বের জেরে গত কয়েক মাস ধরে বিপাকে পড়েছে হাত শিবির। উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চেয়ে বারংবার হাই-কম্যান্ডের দ্বারস্থ হচ্ছেন ডিকে অনুগামীরা। তাঁদের এই পদক্ষেপে পাল্টা ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন সিদ্দারামাইয়াও। এরইমধ্যে পাওয়া গেল বড় আপডেট।
সিদ্দারামাইয়া ঘনিষ্ঠ নেতার বড় দাবি
বৃহস্পতিবার সিদ্দারামাইয়া ঘনিষ্ঠ কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা জানিয়েছেন, যদি পার্টি হাই-কম্যান্ড ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায়, তবে সে বিষয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। এই প্রথম সিদ্দারামাইয়া ঘনিষ্ঠ কোনও নেতার তরফে এমন বয়ান প্রকাশ্যে আসায়, বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অপর এক মন্ত্রী জমির আহমেদ খান দাবি করেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন সিদ্দারামাইয়াই।'
কবে আলোচনায় বসতে পারে কংগ্রেস?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব- সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতারা। সেই বৈঠকেই জট কাটতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কেন কর্নাটকে কুর্সি নিয়ে কাড়াকাড়ি?
কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের মধ্যে লড়াই ২০২৩-এর মে মাসে দল ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই চলছে। সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পর কর্নাটকের রাজনীতিতে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, এই পদ দুই নেতার মধ্যে ‘সমান ভাগে ভাগ’ করে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। চুক্তি হয়েছে, পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে প্রথম আড়াই বছর সিদ্দারামাইয়া কুর্সিতে থাকবেন। পরের আড়াই বছর পদ পাবেন শিবকুমার। যদিও দলের তরফে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছুই কখনও বলা হয়নি। পুরোটাই হয়েছিল বন্ধ দরজার আড়ালে।
শিবকুমারের দাবি, দলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল আড়াই বছর পর সিদ্দারামাইয়া তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি এগিয়ে দেবেন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্দারামাইয়া আড়াই বছর পার করার পরেও কথা রাখেননি। ফলে কংগ্রেসের দ্বারস্থ হয়েছে শিবকুমারের অনুগামীরা। অন্যদিকে, পদ না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন সিদ্দারামাইয়াও। সব মিলিয়ে সকলেরই নজর রয়েছে কংগ্রেসের উচ্চস্তরের বৈঠকের দিকে।