কর্নাটকের হাম্পিতে এক ইজরায়েলি তরুণীসহ এক হোমস্টে মালকিনকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, তবে তৃতীয় অভিযুক্ত এখনও পলাতক। একই ঘটনায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কি ঘটেছিল?
বৃহস্পতিবার রাতে সানাপুর লেকের কাছে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক ইজরায়েলি তরুণী, তার এক আমেরিকান বন্ধু, এবং মহারাষ্ট্র ও ওড়িশার দুই যুবক। সেই সময় বাইকে করে তিনজন ব্যক্তি তাদের দিকে এগিয়ে আসে এবং প্রথমে পেট্রোল পাম্পের ঠিকানা জানতে চায়। এরপর তারা পর্যটকদের কাছ থেকে ১০০ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা আচমকাই পর্যটকদের উপর চড়াও হয়।
নির্যাতনের বিবরণ
অভিযুক্তরা প্রথমে আমেরিকান যুবকসহ তিনজনকে মারধর করে এবং লেকে ফেলে দেয়। এরপর ইজরায়েলি তরুণী এবং তার সঙ্গী হোমস্টে মালকিনকে ধর্ষণ করা হয়। আক্রান্ত তরুণীর দাবি, অভিযুক্তরা তেলেগু ও কন্নড় ভাষায় কথা বলছিল। শুধু ধর্ষণই নয়, বাকি পর্যটকদেরও শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিস্থিতি এখন কী?
পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে এবং স্নিফার ডগ ও বিশেষ তদন্তকারী দল নামিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তৃতীয় অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে এবং তার সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় হাম্পির মতো ঐতিহাসিক ও ইউনেস্কো স্বীকৃত পর্যটনস্থলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।