পহেলগাওঁয়ে বৈসরান উপত্যকায় জঙ্গি হামলার পর এক কাশ্মীরি ফেরিওয়ালা সাজ্জাদ আহমেদ ভাট প্রাণপণে আহত পর্যটকদের উদ্ধার করতে গিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হামলার দিন বিকেল তিনটের দিকে অবস্থা জানতে পেয়ে তিনি ও স্থানীয়রা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সাজ্জাদ বলেন, 'ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রক্তাক্ত মানুষের দেহ দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। আহতদের জল দিয়েছি। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছি।'
সাজ্জাদের মতোই আব্দুল ওয়াহিদ ওয়ান-ও তৎপর ছিলেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে সতর্কবার্তা দিয়ে অন্যদের সহায়তায় অনুপ্রাণিত করেন। আব্দুল বলেন, 'পর্যটকরা কান্নায় ভেঙে পড়ছিল। তাঁদের উদ্ধারে আমরা যতটা পেরেছি ঝাঁপিয়ে পড়েছি।'
টিআরএফের দায় স্বীকার করা ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত, অনেকে আহত। পর্যটক নিরাপত্তার অন্তর্নিহিত দুর্বলতা এবং গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সাজ্জাদ-ওয়াহিদদের উদ্ধারে কোনও খামতি ছিল না বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
সাজ্জাদের বক্তব্য, 'ধর্ম পরে, মানবতা আগে আসে। পর্যটকরা আমাদের অতিথি, ওদের ছাড়া এই উপত্যকা নিঃসঙ্গ।' হামলার আঁচে শোকস্তব্ধ পর্বতবর্তী অঞ্চল আজ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—সন্ত্রাসকে প্রতিরোধের চাবিকাঠি কি শুধুই নিরাপত্তা বাহিনী, নাকি সাধারণ মানুষের সহানুভূতিকর সচেতনতা?