কেরলের এর্নাকুলামে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় দায় স্বীকার করল কেরলের ত্রিশূর জেলার এক ব্যক্তি। সকালে কালামেসারি এলাকার কনভেশন সেন্টারে বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন ৪০ জন। মৃত ১। ওই ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছে বলে দাবি পুলিশের। তবে সে-ই ঘটনার নেপথ্যে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। চলছে তদন্ত।
কেরলের পুলিশ জানিয়েছে, ডমিনিক মার্টিন নামে জনৈক ব্যক্তিই কনভেনশন সেন্টারে বোমা রেখে ছিল। যেখানে রবিবার সকালে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। কালামেসারির অতিরিক্ত এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) অজিত কুমার জানান, ত্রিশূরের গ্রাম্য এলাকার কোডাকারা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে এক ব্যক্তি। তার দাবি, বিস্ফোরণ সে-ই ঘটিয়েছে। অভিযুক্তের নাম ডমিনিক মার্টিন। সভায় যে ধর্মের প্রার্থনা চলছিল, সেই ধর্মেরই লোক সে। আমরা সেটা মিলিয়ে দেখছি। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলের ঠিক মাঝখানে বিস্ফোরণ হয়েছিল।'
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, টিফিন বাক্সে বিস্ফোরক ভরা ছিল। সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ ঘটে প্রথম বিস্ফোরণ। বিস্ফোরক হিসেবে আইইডি ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলের ডিজিপি শেখ দরবেশ সাহেব। তবে ডমিনিকই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কিনা তা এখনই বলতে চাইছে না পুলিশ। কারণ গোটা বিষয়টি ধোঁয়াশায় ভরা। কেনই বা স্বধর্মের সভায় সে বিস্ফোরক রাখবে, তার উদ্দেশ্যই বা কী? আর আত্মসমর্পণই বা কেন করল? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে কেরল পুলিশ। জেরা করা হচ্ছে ডমিনিক মার্টিনকে।
এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর সোমবার সকাল ১০টায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সকালে তিনি বলেন,'একটা দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা নিয়ে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছি। গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। এর্নাকুলারে শীর্ষ আধিকারিকরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে। তদন্তের পর গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে।'