Advertisement

Kerala Nurse: ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের একমাসের মধ্যে ফাঁসি, পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস বিদেশ মন্ত্রকের

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার জীবনে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ইয়েমেনি নাগরিক হত্যার দায়ে ৩৬ বছর বয়সী এই নার্সের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সম্প্রতি সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি। আগামী এক মাসের মধ্যে এই রায় কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 31 Dec 2024,
  • अपडेटेड 12:47 PM IST
  • ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার জীবনে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
  • ইয়েমেনি নাগরিক হত্যার দায়ে ৩৬ বছর বয়সী এই নার্সের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সম্প্রতি সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি।

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার জীবনে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ইয়েমেনি নাগরিক হত্যার দায়ে ৩৬ বছর বয়সী এই নার্সের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সম্প্রতি সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি। আগামী এক মাসের মধ্যে এই রায় কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।

কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া পেশায় একজন নার্স ছিলেন। ২০০৮ সালে কাজের জন্য ইয়েমেন যান এবং ২০১৪ সালে স্বামী ও মেয়েকে ভারতে পাঠিয়ে নিজে সেখানে থেকে যান। নিজের ক্লিনিক খোলার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তিনি স্থানীয় নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে কাজ শুরু করেন।

ক্লিনিক থেকে শাস্তির পথে
নিমিশা ও মাহদির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে ক্লিনিক খোলার পরপরই। অভিযোগ, মাহদি তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে সংজ্ঞাহীন করার চেষ্টা করেন নিমিশা। তবে ওষুধের ওভারডোজে মাহদির মৃত্যু ঘটে। এর পর মাহদির মৃতদেহ গোপন করার জন্য তাঁকে টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে নিমিশার বিরুদ্ধে।

আইনি লড়াই ও মৃত্যুদণ্ডের রায়
২০১৭ সালে গ্রেফতারের পর নিমিশাকে ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। নিমিশার পরিবার এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তাঁকে বাঁচানোর জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েছে। আইনজীবীর ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সাজা মকুবের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু ২০২3 সালে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।

ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারত সরকার গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, "নিমিশার পরিবার সব রকম চেষ্টা করেছে। সরকার তাদের পাশে থেকে সম্ভাব্য সব সাহায্য করছে।"

মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত সিলমোহর
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের পর এখন "অস্বাভাবিক" কিছু না ঘটলে এক মাসের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এ ঘটনায় নিমিশার পরিবার এবং ভারতীয় সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Advertisement

মানবিক আবেদন
নিমিশার মা প্রেমা কুমারী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা শেষ মুহূর্তের আপিল জানাচ্ছেন। তাঁরা ভারত সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে নিমিশার জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement