গুজরাতে জ্বলে পুড়ে খাক লন্ডনগামী বিমান। আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে একটি বহুতলের ওপর বিমানটি ভেঙে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। বিমানটিতে ক্রু সদস্য সহ ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন বলে খবর। বহু স্থানীয় মানুষের নিহত ও জখম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, এই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিজয় রূপানী সহ কয়েক জন ভিভিআইপি ছিলেন। জানা যায়, বিমান ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিগন্যাল হারিয়ে যায়।
একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা ১টার পর বিমানটি ওড়ার পরই হঠাৎ নীচের দিকে নামতে থাকে। এরপর বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের গোলার মতো ভেঙে পড়ে। জানা যায়, পাইলট 'মে ডে' ঘোষণা করে।
আহমেদাবাদ পুলিশ কন্ট্রোল রুম এটি নিশ্চিত করেছে। তথ্য অনুসারে, এই বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘানি নগরের কাছে ভেঙে পড়ে। বহুতলটিও জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যায়।
বিমানবন্দর থেকে মেঘানি নগরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। দুর্ঘটনার পরপরই ৭টি দমকল বাহিনীর গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে শুরু করে। বিমান দুর্ঘটনার অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে জরুরি প্রতিক্রিয়া দল মোতায়েন করা হয়েছে।
নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা?
কী কারণে এত বড় দুর্ঘটনার তার কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। বিমানের ব্ল্যাকবক্স খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে বিএসএফ এবং এনডিআরএফ দল পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি বোয়িং-এর ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বলে জানা গেছে, যা ১১ বছরের পুরনো ছিল।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১৭১। এখানে হল্টের পর বৃহস্পতিবার বেলায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে বিমানটি ওড়ে। ফায়ার অফিসার জয়েশ খাদিয়া জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থানীয়দের উদ্ধারকাজ চলছে।