শিয়ালদায় নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। যার জেরে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল রয়েছে। যাত্রীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। সবথেকে সমস্যা হচ্ছে ফেরার সময়। বাসে বাদুরঝোলা হতে হচ্ছে। আর যে ট্রেনগুলি চলছে, সেগুলিতে ঠাসা ভিড় হচ্ছে। অটোর জন্য লাইন পড়ছে লম্বা। সেইসঙ্গে গত তিনদিন ব্যাপকভাবে ভিড় বেড়েছে মেট্রোয়। এই কথা মাথায় রেখে শহরতলির যাত্রীদের প্রয়োজনে পূর্ব রেলওয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ট্রেন চালাতে অনুরোধ জানায়। তারই জেরে মেট্রো রেল ৯ জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে ব্লু লাইনের দক্ষিণেশ্বর-দমদম স্ট্রেচে তারিখে আপ ও ডাউনে মেট্রো ১০টি অতিরিক্ত ট্রেন চালিয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশনগুলোর একটি হল এরাজ্যের শিয়ালদা। এই স্টেশনের পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ চলছে। রুট রিলে ইন্টারলকিং (RRI) প্যানেল থেকে একটি দ্বৈত ভিডিইউ (VDU) সিস্টেম-সহ একটি ইলেকট্রনিক্স ইন্টারলকিং (EI) সিস্টেম চালু হয়েছে। ১২ বগির ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্ম ১ থেকে ৫-এর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
এরই সঙ্গে ওভারহেড ইকুইপমেন্ট (OHE) পোর্টাল এবং ডিসি ট্র্যাক সার্কিট বসানোর কাজও চলছে। এছাড়াও স্টেশনের সিগন্যালিং এবং টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করার কাজও চলছে। তারই জেরে ৭ জুন প্রাক-এনআই কাজ এবং ৮ এবং ৯ জুন নন-ইন্টারলকিং কাজের জন্য শিয়ালদহে ট্রেন চলাচলের নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাতের মেট্রোর সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়েও ভাবনা-চিন্তা করতে রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে সোম থেকে শুক্র ১১টার সময় শেষ মেট্রো ছাড়া হচ্ছে। বহু দিন ধরেই যাত্রীরা অনুরোধ করছিলেন রাতে মেট্রোর সময়সূচী বাড়ানোর জন্য। এখন মেট্রো দু’টি শিফ্টে চলে। রাত ১১টা পর্যন্ত চালাতে গেলে তা বাড়িয়ে তিনটি শিফ্ট করতে হবে। তা কী ভাবে সম্ভব, দেখা হচ্ছে। অনেকের মতে, দিল্লিতে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলে, কলকাতাতেও না চলার কোনও কারণ নেই।