Advertisement

Kunal Ghosh visit Agartala: 'ডেডবডি হয়েও ফিরতে পারি,' ত্রিপুরা যাওয়ার আগে আশঙ্কা কুণালদের, কেন?

অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। অভিষেকের কনভয়ে হামলা হয়েছে। মাঝ রাতে সায়নী ঘোষের উপরে থানায় হামলা হয়েছে। আমরা ডেড বডি হয়ে ফিরতে পারি। কাল থেকে পোস্ট চলছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরাকে সন্ত্রাসের রাজ্য করে ফেলেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Oct 2025,
  • अपडेटेड 9:51 AM IST
  • ত্রিপুরায় তৃণমূলের সদর দফতরে হামলার অভিযোগ
  • সেই খবর জানার পরই তৎপর হয় রাজ্য তৃণমূল
  • তাদের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের দল আজ আগরতলায় যাচ্ছেন সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে

উত্তরবঙ্গের দুর্যোগের পর থেকেই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ঠোকাঠুকি চলছিল। আর সেই বাকবিতণ্ডা চরম আকার নেয় নাগরাকাটায়। সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হন এমপি খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই আক্রমণ তৃণমূলের তরফে করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। আর এই খবর নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই ত্রিপুরায় তৃণমূলের সদর দফতরে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই খবর জানার পরই তৎপর হয় রাজ্য তৃণমূল। তাদের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের দল আজ আগরতলায় যাচ্ছেন সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।

এই প্রতিনিধি দলে রয়েছে কুণাল ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহা। তারা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তার পর সেই মতো নেওয়া হবে ব্যবস্থা। 

কুণাল কী বললেন সকালে? 
কুণাল বলেন, 'আমরা আগরতলা যাচ্ছি। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে জাস্টিফিকেশন দিচ্ছেন যে বিজেপির সাংসদ বিধায়ক উপরে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী এটা সমর্থন করেন না। তিনি ঘটনার নিন্দা করেছে।... তবে বিজেপিকে দেখতে হবে কেন মানুষ ক্ষেপে রয়েছে। ১০০ দিনের টাকা দেবেন না, আবাসের টাকা দেবেন না। মালিক টাকা দেননি... বাংলাদেশী বলে পুশব্যাক করানোর চেষ্টা হয়েছে... জনপ্রতিনিধিরা এমনি এলাকায় যাননি। এখন গেছেন। সঙ্গে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাননি। ফটোশ্যুট করতে গেছেন... তারপরও যে ভাবে ত্রিপুরায় হামলা হয়েছে, সেটা দেখতে টিম যাচ্ছে। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। অভিষেকের কনভয়ে হামলা হয়েছে। মাঝ রাতে সায়নী ঘোষের উপরে থানায় হামলা হয়েছে। আমরা ডেড বডি হয়ে ফিরতে পারি। কাল থেকে পোস্ট চলছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরাকে সন্ত্রাসের রাজ্য করে ফেলেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল।'

কী বললেন সায়নী?

তিনি জানান, এর আগেও তৃণমূলের সঙ্গে এমনটা হয়েছে ত্রিপুরায়। এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওখানে যাচ্ছি। 

কেন তৈরি হল এই পরিস্থিতি? 
আসলে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির পর দুর্যোগের মুখে পড়ে উত্তরবঙ্গ। একের পর এক নদী ফুঁসতে থাকে। ধসে মিলিয়ে যায় রাস্তা। ভেঙে যায় ব্রিজ। এমনকী একাধিক বাড়িও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যার ফলে প্রাণ হারান ২৪ জন। পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। 

Advertisement

আর এমন পরিস্থিতিতেই ত্রাণ নিয়ে নাগরাকাটায় হাজির হন খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। সেই সময়ই একদল দৃষ্কতী তাদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় দৃষ্কৃতিদের হাতে ধাক্কা খেয়ে পালাচ্ছেন শঙ্কর ঘোষ। ও দিকে গাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় বসে রয়েছেন খগেন মুর্মু। 

এই ঘটনা নিয়ে চারিদিকে বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম সকলেই একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেও এই হামলার নিন্দা করা হয়। 

যদিও এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে থাকেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও ট্যুইট যুদ্ধে পাল্টা দেন মোদীকে। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং না দেওয়ার করেন আহ্বান। তার পর মঙ্গলবারই পৌঁছে যান হাসপাতালে খগেন মুর্মুকে দেখতে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খগেনের শারীরিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেন। 

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কর্মকাণ্ডকে নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে  দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

ওদিকে হল হামলা
বাংলায় বিজেপির উপর হামলার প্রতিবাদে ত্রিপুরায় ক্ষোভবিক্ষোভ ছিলই। এ বার তার বদলা নিতে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। আর সেই পরিস্থিতিই খতিয়ে দেখতে পৌঁছে যাচ্ছে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement