লেডি জাস্টিসের চোখের পট্টি খুলে দেওয়া হল। আর অন্ধ নয় ন্যায়ের মূর্তি। এতদিন ন্যায়ের প্রতীক স্বরূপ লেডি জাস্টিসের যে মূর্তি দেখা যেত, যেখানে সাদা মূর্তিতে চোখে কালো পট্টি বাঁধা থাকত, সেই মূর্তি বদলে গেল। নতুন এই নারীমূর্তির চোখে আর কোনও পট্টি বাঁধা নেই। আগের মূর্তিতে লেডি জাস্টিসের এক হাতে দাঁড়িপাল্লা আর অন্য হাতে তরোয়াল ছিল। নতুন মূর্তিতে দেখা গিয়েছে, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, আর অন্য হাতে সংবিধান। সুপ্রিম কোর্টে লেডি জাস্টিসের মূর্তিতে এমনই বদল ঘটানো হল।
সাদা রঙের এই নতুন নারীমূর্তিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। ন্যায়ের প্রতিমূর্তি হিসাবে যে লেডি জাস্টিসের মূর্তি ছিল, তার চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা ছিল। আইনের চোখে সকলেই সমান, এই বার্তাই দিত পট্টি বাঁধা চোখ। অর্থাৎ, বিচারের সময় আদালতের কাছে ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা, ধনদৌলত কিছুই বিবেচ্য হবে না। সকলকে সমান চোখে দেখে বিচার করা হয়। আর ন্যায়মূর্তির এক হাতে তরোয়াল ছিল আইনের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা। সেই মূর্তিরই ভোলবদল ঘটানো হল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, এই নতুন মূর্তিটি গত বছর তৈরি করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিলে নতুন বিচারপতিদের গ্রন্থাগারের কাছে স্থাপন করা হয়েছিল মূর্তিটি। তবে এখন সেই মূর্তির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
ন্যায়মূর্তির ডান হাতে আগে যেমন দাঁড়িপাল্লা ছিল, তা নতুন মূর্তিতেও রয়েছে। এর বদল ঘটেনি। দাঁড়িপাল্লা সমাজের ভারসাম্যের প্রতিফলন ঘটায়। কোনও একদিকে বিচার ঝুঁকে থাকে না। সেই বার্তাই দেয় দাঁড়িপাল্লা। নতুন মূর্তিতে এর বদল করা হয়নি। তবে অন্য হাতে তরোয়ালের জায়গায় ঠাঁই পেয়েছে সংবিধান।