অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের তারিখ (২২ জানুয়ারি) খুব সন্নিকটে। এদিকে রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বিজেপির সিনিয়র নেতা এলকে আডবাণী এবং মুরলীমনোহর যোশীকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এজেন্সির মতে, চম্পত রাই এক সংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্য ও বয়স সংক্রান্ত কারণে মুরলীমনোহর যোশী এবং লালকৃষ্ণ আডবাণী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। দুজনেই বৃদ্ধ। তাই বয়স বিবেচনা করে তাদের না আসার অনুরোধ করা হয়েছে, যা উভয়েই মেনে নিয়েছেন।
চম্পত রাই কথা বলেছেন মুরলি মনোহর যোশীর সঙ্গে
রামমন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আডবাণীজির উপস্থিত থাকা অনিবার্য, তবে তাঁর বয়স বিবেচনা করে আমরা অনুরোধ করব তিনি যেন না আসেন।' লালকৃষ্ণ আডবাণীর কথা বলার পর চম্পত রাই মুরলীনোহর যোশী সম্পর্কে বলেন, 'ড.মুরলীমনোহর যোশীর সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি। আমি তাঁকে না আসার কথা ফোনে বলতে থাকি এবং তিনি আসবেন বলে পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। আমি গুরুজীকে বারবার অনুরোধ করতে থাকি যেন না আসেন। আপনার বয়স এবং ঠান্ডা... এমনকি আপনার হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।'
কল্যাণ সিং সংক্রান্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করেন
কল্যাণ সিং সম্পর্কিত একটি পুরনো ঘটনার উল্লেখ করে চম্পত রাই বলেন, ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় কল্যাণ সিং পীড়াপীড়ি শুরু করেন যে তিনি অবশ্যই আসবেন। চম্পত রাই আরও বলেন, 'আমি তার (কল্যাণ সিং) ছেলেকে বলেছিলাম হ্যাঁ বলতে থাকুন, শেষ দিনে এ নিয়ে ভাবা হবে এবং শেষ দিনে আমরা তাকে বলেছিলাম তাকে আসতে হবে না। তিনি এটা মেনে নেন। বাড়ির বড়দের এভাবেই বোঝানো হয়।'
চম্পত রাই সংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান
আগামী ২২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিস্থা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদিক সম্মেলনে রাম মন্দির নিয়ে অনেক তথ্য দেন চম্পত রাই। তিনি জানান, সকাল ১১টায় রামজন্মভূমি কমপ্লেক্সে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপর আমরা ১১:৩০ নাগাদ পৌঁছব ভগবান রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও এই অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন
চম্পত রাই আরও বলেন, 'উদ্বোধনের পরের দিন অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি থেকে জনসাধারণকে ভগবান রামের দর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে রাম মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল এবং সমস্ত ট্রাস্টিরা। এছাড়াও আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবেন।'
তিন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা থাকবে
চম্পত রাইয়ের মতে, অযোধ্যার কারসেবকপুরমে রাত্রিকালীন আশ্রয়ের জন্য ডরমিটরিতে ১০০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া টিনের কম্পারমেন্টে ৮৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। ধর্মশালা এবং অন্যান্য জায়গায় ৬০০টি কক্ষ পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে যে এই সংখ্যা ১০০০ কক্ষে উন্নীত হবে।