উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ যাত্রা ফের স্থগিত হয়ে গেল। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া অবিরত ভারী বৃষ্টিতে যাত্রাপথের অধিকাংশ রাস্তা ও সেতু বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০০ পুণ্যার্থী আটকে পড়েছেন এবং প্রশাসন বাধ্য হয়ে কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দিয়েছে।
রামবড়া এলাকায় দুটি সেতু ভেঙে পড়ায় কেদারনাথ পথের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সোনপ্রয়াগ এবং গৌরীকুণ্ডের মধ্যকার রাস্তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনায় অনেক পুণ্যার্থী মাঝপথে আটকে পড়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) উদ্ধার কাজে লিপ্ত থাকলেও এখনও অনেক ভক্ত আটকে রয়েছেন। সেখানকার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভীমবলী এলাকায় পুণ্যার্থীদের নিরাপদে রাখা হয়েছে। এই বন্যায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরাখণ্ডের ৫১টি রাস্তা ভেঙে পড়েছে এবং কুমায়ুন ও গাড়োয়ালের কয়েকটি জেলায় অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আজ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে উদ্ধার কাজের তদারকি করবেন।
কেদারনাথ যাত্রার পথে আটকে থাকা পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করা হচ্ছে এবং তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করে পুণ্যার্থীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত থাকবে।
এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ থাকায় হাজার হাজার ভক্তের মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই তাদের প্রিয় স্থানে পৌঁছানোর আকাঙ্ক্ষায় ছিলেন, কিন্তু প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তির কারণে তাদের যাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক এবং নিরাপদ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কেদারনাথের বিপর্যয় এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণেই হয়েছিল। বুধবারও মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামতেই প্রশাসনের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। ভারী বৃষ্টির জেরে ভিম্বলির কাছে পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েছেন। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন, তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।