দিল্লিতে G-20-র আসর। হেভিওয়েট আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। সেখানে পৌঁছানোর যাত্রাপথ যে দারুণভাবে সাজানো হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাস্তার দুই পাশে যদি হনুমানের কাটআউট দেখেন? অবাক লাগছে? কিছুটা এমনই দৃশ্য দিল্লিতে। সেখানে রাস্তায় হনুমানের বিশাল কাটআউট লাগানো হয়েছে। তবে না, সাজানোর জন্য নয়। অন্য এক বিশেষ কারণে এই কাটআউট লাগানো হয়েছে।
রাস্তার দুই পাশে হনুমানের ছবি লাগানোর কারণ কী?
মশা মারতে কামান তো শুনেছেন। কিন্তু বাঁদর তাড়াতে হনুমান কি কখনও শুনেছেন?
আসলে এই কীর্তি নয়া দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (এনডিএমসি)-এর। বাঁদরের উৎপাত ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এটি বেশ বিজ্ঞানসম্মতও বটে। বাঁদররা এমন কাটআউট দেখে ঘাবড়ে যায়। ভাবে তাদের এলাকায় কোনও বড় বীর হনুমান এসে গিয়েছে। তার উপর সেই হনুমান রীতিমতো দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে আছে। তার আকার দেখে ঘাবড়ে গিয়ে এলাকাছাড়া হয়ে যায় তারা। জি-২০ সম্মেলনের সেখান থেকে বাঁদরদের দূরে রাখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেন্ট্রাল রিজ বরাবর এসপি মার্গে বিভিন্ন রঙের বড় বড় হনুমানের কাটআউট বলসানো হয়েছে। এই কাজে জড়িত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীকে মোতায়েন করা হবে। তাঁরা হনুমানের মতো শব্দ করে বানরদের তাড়িয়ে দেবে। বাঁদরামি করার আর সাহস পাবে না তারা।
এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জি 20 সম্মেলনের সঙ্গে সম্পর্কিত হোটেল এবং স্থান থেকে বানরদের দূরে রাখতে প্রশিক্ষিত কর্মী মোতায়েন করা হতে পারে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগে মেট্রো স্টেশনেও বাঁদরের উৎপাত কমাতে এভাবে বড় বড় হনুমানের কাটআউট বসানো হয়েছে। তবে বন্যপ্রাণ বিশারদদের মতে, বানরের মতো প্রাণীরা খুবই বুদ্ধিমান। তাই আপাতত এই কায়দায় তাদের ঠেকানো গেলেও, পরে তারা ঠিকই বুঝে যাবে। তাই সাময়িকভাবেই এই পন্থা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
তবে অনেকেই এই পদ্ধতি দেখে মুচকি হাসছেন। আসলে, হনুমানের ছবি দিয়ে যদি বাঁদরের বাঁদরামি আটকানো যায়, তবে মন্দ কী!