Advertisement

Leh Curfew: আজও লেহতে কার্ফু, ওয়াংচুক গ্রেফতারের পরে কী পরিস্থিতি লাদাখে?

লেহ-তে আজও জারি কার্ফু। এই নিয়ে চতুর্থ দিনে পড়ল কার্ফু। মোটের উপর শান্তপূর্ণ লেহ। রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই বললেই চলে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বেরতে চাইছেন না।

Aajtak Bangla
  • লেহ,
  • 27 Sep 2025,
  • अपडेटेड 11:15 AM IST
  • লেহ-তে আজও জারি কার্ফু।
  • এই নিয়ে চতুর্থ দিনে পড়ল কার্ফু।
  • নতুন করে উত্তেজনার খবর নেই

লেহ-তে আজও জারি কার্ফু। এই নিয়ে চতুর্থ দিনে পড়ল কার্ফু। থমথমে লেহ। যদিও নতুন করে উত্তেজনার খবর নেই।রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই বললেই চলে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বেরতে চাইছেন না।

আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কাল থেকে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে খবর। কারণ, ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাক্টিভিস্ট সোনাম ওয়াংচুককে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যোধপুর জেলে। আর তারপরই আঁটসাটো করা হয়েছে লেহর নিরাপত্তা। নতুন করে যাতে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। 

সূত্রের খবর, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁরা সবদিক ভেবেচিন্তেই এই কার্ফু তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ততক্ষণ এ ভাবেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হবে লেহকে। 

Leh curfew

 
যদিও বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, এখনই একবারে ঠান্ডা হওয়ার মতো জায়গায় নেই লেহ। কারণ, সোনাম ওয়াংচুকের মতো নেতাকে জেলে ভরার সিদ্ধান্তকে একবারেই ভালো দেখছে না সেখানকার যুবসমাজ। যার ফলে সামনে কোনও বিক্ষোভ না হলেও ভিভরে ভিতরে উত্তেজনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই আপাতত লাদাখ এবং লেহর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্র।

জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে ওয়াংচুকে
কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে লাদাখ। এই অঞ্চলকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে এই ছবির মতো সুন্দর অঞ্চলটি। এর পাশাপাশি আবার জড়িয়ে গিয়েছিল লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিই একটা সময় হিংসার দিকে মোড় নেয়। চলে ভাঙচুর। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। পুলিশের উপর হয় আক্রমণ। এই সংঘর্ষে ৪ জন প্রাণ হারান। আহত ৮০ জন বলে খবর।

Leh Violence

এই উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী করে সোনাম ওয়াংচুককে। তাঁদের মতে, এই মানুষটির উস্কানিতেই এত কাণ্ড। তাই প্রাথমিক ভাবে তাঁর এনজিও-এর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়। বাতিল করা হয় রেজিস্টেশন। তারপর তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। 

Advertisement

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশের মদতে ভারতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। যার ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। এই আইনে অ্যারেস্ট হওয়া ব্যক্তির জামিনের আশা থাকে কম। 

নতুন করে উত্তেজনার খবর নেই
ভাবা হয়েছিল সোনামের গ্রেফতারির পর আবার নতুন করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যদিও তেমনটা একবারেই হয়নি। আপাত ভাবে শান্ত রয়েছে পরিস্থিতি। যদিও ভিতরে ভিতরে চাপা ক্ষোভ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  


 

Read more!
Advertisement
Advertisement