বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটল গুজরাতের আহমেদাবাদে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটের কিছু সময় পর দুর্ঘটনা ঘটে। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর পরই ভেঙে পড়ল বিমান। জানা যাচ্ছে, লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফের পর পরই ভেঙে বড়ে বিমানটি। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমেদাবাদ-লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি ভেঙে পড়েছে।
বিমানে ২৩০ জন যাত্রী-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডিয়ান এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক।
বিমানে থাকা যাত্রীদের তালিকা দেখুন
বিমানটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) কে মে ডে কল দেয় এবং ওড়ান কিছুক্ষণ পরেই বিমানবন্দরের বাইরে ভেঙে পড়ে। ঘটনার পর, আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এসভিপিআইএ) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের কাছে মেঘানিনগর এলাকার কাছে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে যে জরুরি প্রতিক্রিয়া দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন গিয়েছে। বিমানটির নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। তাঁকে সহায়তা করেছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার।
এটিসি অনুসারে, বিমানটি রানওয়ে ২৩ থেকে দুপুর ১:৩৮ মিনিটে (০৮:০৯ ইউটিসি) ওড়ে। কিছুক্ষণ পরেই, ক্রুরা MAYDAY কল জারি করে। এরপরে আর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি বিমানবন্দরের বাইরে ভেঙে পড়ে। তারপরেই বিমানে আগুন লেগে যায়।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল দুর্ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত এবং নিশ্চিত করেছেন যে উদ্ধার অভিযান চলছে। তিনি বলেন, 'আমি অবিলম্বে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। আহত যাত্রীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি।' প্যাটেল আরও উল্লেখ করেছেন যে আহতদের পরিবহনের জন্য একটি গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনডিআরএফ মোতায়েনের পাশাপাশি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জারাপু এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি হতবাক ও মর্মাহত। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।' মন্ত্রী আরও বলেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সমস্ত বিমান ও জরুরি প্রতিক্রিয়া সংস্থাগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।