Advertisement

লটারি কিং, খনি সংস্থা থেকে Airtel, 'নির্বাচনী বন্ডে' টাকার পাহাড়! কোন কোম্পানির সবচেয়ে বেশি অনুদান? রইল লিস্ট

লটারি কোম্পানি, খনি সংস্থা থেকে শুরু করে টেলিকম সেক্টর। ইলেক্টরাল বন্ড কেনার নিরিখে এগিয়ে এই সংস্থাগুলিই। রাজনৈতিক দলগুলিকে 'অনুদানে'র বহর দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 15 Mar 2024,
  • अपडेटेड 11:08 AM IST
  • লটারি কোম্পানি, মাইনিং সংস্থা থেকে শুরু করে টেলিকম সেক্টর। ইলেক্টরাল বন্ড কেনার নিরিখে এগিয়ে এই সংস্থাগুলিই।
  • বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ইলেক্টরাল বন্ডের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই স্কিমের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিতে কে কত টাকা অনুদান দিয়েছে, তার উল্লেখ রয়েছে।
  • তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এর মূল মালিক 'লটারি কিং' সান্তিয়াগো মার্টিন। অনুদানের পরিমাণ ১,৩৬৮ কোটি টাকা!

লটারি কোম্পানি, খনি সংস্থা থেকে শুরু করে টেলিকম সেক্টর। ইলেক্টরাল বন্ড কেনার নিরিখে এগিয়ে এই সংস্থাগুলিই। রাজনৈতিক দলগুলিকে 'অনুদানে'র বহর দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ইলেক্টরাল বন্ডের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই স্কিমের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিতে কে কত টাকা অনুদান দিয়েছে, তার উল্লেখ রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এর মূল মালিক 'লটারি কিং' সান্তিয়াগো মার্টিন। অনুদানের পরিমাণ ১,৩৬৮ কোটি টাকা!

দ্বিতীয় স্থানে, রয়েছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারস লিমিটেড (MEIL)। হায়দরাবাদের সংস্থা। মূলত কনস্ট্রাকশন সংক্রান্ত কাজ করে। এই সংস্থাই জোজিলা টানেলের মতো বড় প্রকল্পের কনট্র্য়াক্ট পেয়েছে। কৃষ্ণ রেড্ডির এই সংস্থা ৯৬৬ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে।

তৃতীয় স্থানে, মুম্বইয়ের কিউইক সাপ্লাই চেইন প্রাইভেট লিমিটেড। এটি একটি লজিস্টিক ফার্ম। ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে ৪১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।

এছাড়াও সবচেয়ে বড় দশ দাতাদের মধ্যে রয়েছে মাইনিং সংস্থা বেদান্ত লিমিটেড এবং আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের হলদিয়া এনার্জি, যারা যথাক্রমে ৪০০ কোটি এবং ৩৭৭ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে৷

ভারতী এয়ারটেল গ্রুপ, ভারতের অন্যতম বড় বেসরকারি সংস্থাও নির্বাচন বন্ডে বিপুল টাকার অনুদান দিয়েছে। এসেল মাইনিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডও প্রচুর টাকার ইলেক্টরাল বন্ড কিনেছে৷

স্টিল টাইকুন লক্ষ্মী নিবাস মিত্তল নিজেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৩৫ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।

আলোচ্য ডেটায় ১২ এপ্রিল, ২০১৯ সাল থেকে কারা কারা ১,০০০ থেকে ১ কোটি টাকার ইলেক্টরাল বন্ড কিনেছে, তার সম্পূর্ণ উল্লেখ আছে।

শীর্ষ দাতা:
ফিউচার গেমিং এবং হোটেল সার্ভিস পিআর: ১,৩৬৮ কোটি টাকা
মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড: ৯৬৬ কোটি টাকা।
Qwik সাপ্লাই চেইন প্রাইভেট লিমিটেড: ৪১০ কোটি টাকা।
বেদান্ত লিমিটেড: ৪০০ কোটি টাকা।
হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড: ৩৭৭ কোটি টাকা।
ভারতী এয়ারটেল গ্রুপ: ২৪৭ কোটি টাকা।
এসেল মাইনিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: ২২৪ কোটি টাকা।
ওয়েস্টার্ন ইউপি পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড: ২২০ কোটি টাকা।
কেভেনটার ফুড পার্ক ইনফ্রা লিমিটেড: ১৯৫ কোটি টাকা।
এমকেজে এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড: ১৯২ কোটি টাকা।

Advertisement

যে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়েছে তাদের মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, বিআরএস, শিবসেনা, টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, ডিএমকে, জেডিএস, এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, আরজেডি, এএপি এবং সমাজবাদী পার্টি রয়েছে।

নির্বাচন বন্ডের মাধ্যমে অনুদানকারীদের তালিকা: ক্লিক করুন এইখানে

রাজনৈতিক দলগুলির সম্পূর্ণ তালিকা: ক্লিক করুন এইখানে

আদালতের আদেশকে 'ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করার' জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সমালোচনা করে , প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ গত ১১ মার্চ নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী বন্ডের বিশদ প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। এসবিআই বিশদ তথ্য প্রকাশের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে স্কিম শুরু হওয়ার পর থেকে SBI ৩০টি ধাপে ১৬,৫১৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড জারি করেছে ।

খবরটি ইংরাজিতে পড়তে ক্লিক করুন এইখানে। 

তথ্য সৌজন্যে: ঐশ্বর্য্য পালিওয়াল, সাহিল সিনহা

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement