Advertisement

L&T Chairman SN Subrahmanyan: 'বউয়ের পানে আর কত চাইবেন?' সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের সওয়াল এই সংস্থার প্রধানের

সম্প্রতি লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T)-এর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যনের একটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কর্মজীবনের ভারসাম্য ও কর্মঘণ্টা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আপনি বাড়িতে বসে কী করবেন? আপনি কতক্ষণ আপনার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবেন? আসুন, অফিসে যান এবং কাজ করুন।"

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 09 Jan 2025,
  • अपडेटेड 7:19 PM IST
  • সম্প্রতি লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T)-এর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যনের একটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
  • কর্মজীবনের ভারসাম্য ও কর্মঘণ্টা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আপনি বাড়িতে বসে কী করবেন?

সম্প্রতি লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T)-এর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যনের একটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কর্মজীবনের ভারসাম্য ও কর্মঘণ্টা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আপনি বাড়িতে বসে কী করবেন? আপনি কতক্ষণ আপনার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবেন? আসুন, অফিসে যান এবং কাজ করুন।"

সুব্রহ্মণ্যন ছয় দিনের কাজের সপ্তাহ এবং ৯০ ঘণ্টার কাজের সপ্তাহকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, "আমি দুঃখিত যে আমি আপনাদের রবিবারে কাজ করাতে পারছি না। তবে যদি পারতাম, আমি খুব খুশি হতাম। কারণ আমিও রবিবার কাজ করি।"

চিনের উদাহরণ টেনে ৯০ ঘণ্টার কাজের সপ্তাহের পক্ষে মত
কর্মীদের আরও বেশি কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সুব্রহ্মণ্যন একটি চীনা কর্মীর সঙ্গে তার কথোপকথনের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, "চীনা কর্মীরা সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করেন, যেখানে আমেরিকানরা মাত্র ৫০ ঘণ্টা কাজ করেন। এ কারণেই চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদি আমাদেরও বিশ্বের শীর্ষে থাকতে হয়, তাহলে আমাদের সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।"

কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন
এই মন্তব্য কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চলতে থাকা বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। এর আগে ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তিও তরুণ ভারতীয়দের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুব্রহ্মণ্যনের বক্তব্যকে আরও কঠোর বলে মনে করছেন অনেকেই।

নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
সুব্রহ্মণ্যনের এই মন্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। অনেকেই তার মন্তব্যকে "অসংবেদনশীল" বলে অভিহিত করেছেন। বিশেষ করে স্ত্রীর দিকে তাকানোর বিষয়ে করা মন্তব্যটি অনেকের কাছে অপমানজনক মনে হয়েছে।

Reddit-এ এক ব্যবহারকারী লেখেন, "এটি শুধু কর্মচারীদের ব্যক্তিগত জীবনকেই তুচ্ছ করে না, বরং কাজের সংস্কৃতিকে অমানবিক করে তোলে।" আরেকজন বলেন, "কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা একটি মৌলিক অধিকার। ৯০ ঘণ্টা কাজ করা মানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কোনো সুযোগই থাকবে না।"

Advertisement

বিতর্কিত মন্তব্যের প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের মন্তব্য আধুনিক কর্মসংস্কৃতি এবং কর্মীদের মনোবলকে নেতিবাচক প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত কাজ চাপের ফলে কর্মীদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement