Moradabad: এইটের ছাত্রীর 'কুমারীত্ব পরীক্ষা'র দাবি, মাদ্রাসা কর্মী গ্রেফতার

ছাত্রীটির বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ, যিনি চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা হলেও মোরাদাবাদে থাকেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ তাঁর মেয়েকে ভর্তির সময় অযৌক্তিক বাধা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, '৫০০ টাকা ফি দেওয়ার পরও ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। এবং ফি ফেরতও দেওয়া হয়নি। আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, যদি সে ন্যায়বিচার না পায়, তাহলে সে তার জীবন শেষ করে দেবে।'

মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের জারি করা নথিতে মেডিকেল পরীক্ষা করার নির্দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা পরে পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

মোরাদাবাদের পুলিশ সুপার (সিটি) কুমার রণবিজয় সিং জানিয়েছেন, মাদ্রাসার ভর্তি ইনচার্জ শাহজাহান, অধ্যক্ষ রাহনুমা এবং অন্যান্য কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদেরও খুঁজছে পুলিশ।

সার্কেল অফিসার (হাইওয়ে) রাজেশ কুমার বলেন, 'এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে আইনের যথাযথ ধারা প্রয়োগ করা হবে।'

অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ সালমান বলেন, 'ভিত্তিহীন এবং বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ। কোনো পড়ুয়ার কাছ থেকে কখনও এই ধরণের সার্টিফিকেট চাওয়া হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে বহু মেয়ে মর্যাদার সঙ্গে পড়াশোনা করে।'

উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ও আন্তঃকলেজ হিসেবে কাজ করে এবং উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মৌলিক শিক্ষা বিভাগের অনুমোদিত।