আর কয়েকদিন পরই বকরি ইদ। ঠিক তার আগে ছাগল বলি দেওয়া বন্ধ করার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাল এক হিন্দু সংগঠন। মধ্যপ্রদেশের ওই সংগঠনের নাম সংস্কৃতি বাঁচাও মঞ্চ। মুসলিম নেতাদের এই নিয়ে চিঠিও লেখা হয়েছে সেই সংগঠনের তরফে। তাদের প্রশ্ন, হিন্দুরা যদি পরিবেশ বান্ধব গণেশ পুজো করতে পারে তাহলে মুসলিমরা কেন ছাগল বলি নিষিদ্ধ করতে পারবে না?
ওই সংগঠনের আহ্বায়ক চন্দ্রশেখর তিওয়ারি বলেন, 'সংস্কৃতি বাঁচাও মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের স্বার্থে কাজ করে থাকে। ছাগল বলি আটকানোর জন্য আমরা গত ৪ বছর ধরে মাটির ছাগল তৈরি করে বিক্রি করছি। সেগুলোর দাম হাজার টাকা। আমরা পরিবেশ বান্ধব দীপাবলি, গণেশ পুজো করে থাকি। তাহলে ইদ কেন সেভাবে পালন করা যাবে না? ছাগল বলির পর তার মাংস পরিষ্কার করতে প্রচুর জল খরচ হয়। যদি মাটির ছাগল ব্যবহার করা হয় তাহলে জলের খরচ কমে যাবে।'
চন্দ্রশেখর আরও জানান, পরিবেশ বান্ধব ইদ পালনের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই বড় বড় মুসলিম সংগঠনের নেতাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোনওরকম বিতর্ক না বাড়িয়ে সবাই যাতে পরিবেশের কথা খেয়াল রাখে সেদিকে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ফুলঝুড়ি দিয়ে পরিবেশবান্ধব দীপাবলি উদযাপন শুরু করেছি। মাটি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা এবং গণেশ প্রতিমা তৈরি করে তা বাড়িতেই কৃত্রিম জলাধারে বিসর্জন করেছি। এর কারণ যাতে পুকির বা জলাশয় নষ্ট না হয়। এতে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। বলি প্রথা বন্ধ করা উচিত। তাহলে পরিবেশ বাঁচবে।'
যদিও এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছেন উত্তরপ্রদেশের জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের আইনি উপদেষ্টা সৈয়দ কাব রশিদি। তিনি বলেন, 'এই ধরনের উপদেশ শুধু মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবের আগে দেওয়া হয়ে থাকে। যা কাঙ্খিত নয়। আসলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায় একাংশ। ভারত থেকে মাংস রপ্তানি করা হয়। দেশে মাংস বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করে ভারত। ভারত সারা বিশ্বে চামড়া বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করে। তখন কেন কেউ কেন কিছু বলেন না?'