Advertisement

Burhanpur namaz steps: 'দেখাও নমাজ কীভাবে পড়ে', বরখাস্ত সরকারি স্কুলের যোগব্যায়াম শিক্ষক

মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলায় এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, যোগব্যায়াম ক্লাসের আগে তিনি পড়ুয়াদের নমাজ পড়তে বাধ্য করেছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 28 Oct 2025,
  • अपडेटेड 12:42 PM IST
  • মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলায় এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
  • অভিযোগ, যোগব্যায়াম ক্লাসের আগে তিনি পড়ুয়াদের নমাজ পড়তে বাধ্য করেছিলেন।

মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলায় এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, যোগব্যায়াম ক্লাসের আগে তিনি পড়ুয়াদের নমাজ পড়তে বাধ্য করেছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

অভিযোগ কী?
ঘটনাটি বুরহানপুর জেলার দেওরি এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো স্কুলে যোগব্যায়াম চলছিল। কিন্তু ওই স্কুলের এক শিক্ষক যোগ সেশন শুরু হওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের নমাজ পড়তে বলেন। পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রছাত্রী এই বিষয়টি দীপাবলির ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের জানায়।

অভিভাবকরা বিষয়টি জানার পর স্কুলে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সন্তোষ সিং সোলাঙ্কি নিজে স্কুল পরিদর্শন করেন এবং পড়ুয়াদের কাছ থেকে সরাসরি ঘটনাটি শোনেন।

শিক্ষক বরখাস্ত, তদন্ত শুরু
পড়ুয়াদের বয়ান শুনে জেলা শিক্ষা দফতর তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগের সত্যতা মিললে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়। আধিকারিক সোলাঙ্কি বলেন, 'ঘটনার বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই শিক্ষক কেন এবং কীভাবে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

অভিভাবক ও সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সভাপতি অজিত পরদেশী-সহ কয়েকজন স্থানীয় নেতা স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। পড়ুয়ায়া বিষয়টি নিশ্চিত করে।
একজন অভিভাবক বলেন, 'আমার সন্তান দীপাবলির ছুটিতে এসে বলেছিল, শিক্ষক যোগের আগে নমাজ পড়তে বলেছেন। আমরা অবাক হয়ে যাই এবং সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে অভিযোগ জানাই।'

প্রশাসনের পদক্ষেপ
শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক উভয়ের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে ধর্মীয় আচার পরিচালনার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement